Protest against Potholes: খালি গা, হাতে পতাকা, জাতীয় সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের দাবিতে নীরব প্রতিবাদ
Protest against Potholes: জাতীয় সড়কের রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানিয়ে প্রতিবাদে সরব বিহারের সমস্তিপুরের বাসিন্দারা। তাঁরা খালি গায়ে, হাতে পতাকা নিয়ে জমা জলে বসেই প্রতিবাগ দেখাচ্ছেন।
পটনা: জাতীয় সড়কের রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানিয়ে জল জমা রাস্তায় বসে প্রতিবাদ জানালেন বাসিন্দারা। জামা ছাড়া হাতে পতাকা নিয়ে নোংরা জলেই বসে রইলেন প্রতিবাদীরা। রবিবার সমস্তিপুরের মহিউদ্দিন নগর মার্কেটের কাছে বসবাসকারী গ্রামবাসীরা রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে সুর চড়ান। হাজিপুর-বাচওয়ারা জাতীয় সড়ক-১২২ (National Highway-122) এর রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গর্তে ভর্তি রাস্তা। আর এই রাস্তার খারাপ অবস্থার কারণে নিত্যদিন সাধারণ মানুষদের দুর্দশা ভোগ করতে হচ্ছে। তাই এবার তাঁরা নিজেদের দাবি নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েছেন। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তাঁরা এরূপ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত তিনদিন ধরে তাঁরা এইভাবে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন। এদিকে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘এনএইচ-১২২-র টেন্ডারের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। জাতীয় সড়কে গর্ত মেরামতির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাই রাস্তা সাড়াই হতে সময় লাগবে।’
Bihar | In Mohiuddin Nagar market of Samastipur, villagers protested while sitting in the dirty water accumulated on the road, early morning today, demanding to start the construction work of the Hajipur-Bachwara NH-122 road. pic.twitter.com/ffAcSBy0B8
— ANI (@ANI) October 15, 2022
আধিকারিক আরও বলেছেন, ‘এই কারণে কয়েকজন সাধারণ মানুষ গত তিনদিন ধরে প্রতিবাদ করছেন।’ জাতীয় সড়কে খানা-খন্দ। বেশ কিছু জায়গায় জমে রয়েছে জলও। সংবাদ সংস্থা এএনআই-র টুইট করা ছবিতে দেখা গিয়েছে, সেই জমা জলের মধ্যেই খালি গায়ে বসে রয়েছেন বাসিন্দারা। তাঁদের হাতে রয়েছে পতাকাও। তাঁদের দাবি নিয়ে শনিবার সকালেই তাঁরা প্রতিবাদে বসেন। এক প্রতিবাদী বলেছেন, ‘গত তিনদিন ধরে আমরা প্রতিবাদ করছি। আমাদের দাবি খুব সাধারণ। আমরা বুঝি যথাযথ রাস্তা তৈরি করা একটি বড় কাজ। কিন্তু আমরা চাই এই রাস্তার অন্ততপক্ষে রক্ষণাবেক্ষণ করা হোক। এর জন্য কন্ট্রাক্টরদের ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেছেন,’রাস্তার খারাপ দশার কারণে প্রতিদিন এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে। আর ভুগছেন সাধারণ মানুষরা।’