‘কি করুণ অবস্থা!’ অধীরকে কটাক্ষ বিজেপির

তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী | Edited By: tista roychowdhury

Mar 02, 2021 | 2:51 PM

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও মঞ্চে অপমানিত অধীর (Adhir Chowdhury)। আব্বাসের (Abbas Siddiqi) সঙ্গে জোট নিয়ে বিতর্কের মাঝেই এবার কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের।

কি করুণ অবস্থা! অধীরকে কটাক্ষ বিজেপির
ফাইল চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলার রাজনীতিতে চর্চায় বাম-কংগ্রেস জোট। আব্বাস সিদ্দিকির (Abbas Siddiqi) ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের (ISF) সঙ্গে আসন রফা নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তাতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) আপত্তিই প্রকাশ্যে এসেছে। এরই মধ্যে রাজ্যসভার সাংসদ আনন্দ শর্মার (Ananda Sharma) টুইট ঘিরে সামনে আসে কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। আর সেই দ্বন্দ্বকে হাতিয়ার করেই এবার অধীরকে কটাক্ষ বিজেপির। টুইটে অধীরকে করুণার পাত্র বলে ব্যাখ্যা করল গেরুয়া শিবির। উল্লেখ করা হয়েছে ব্রিগেড মঞ্চের ঘটনাও।

ব্রিগেড মঞ্চে যে ঘটনা ঘটে তাতে অধীর-আব্বাস বিরোধের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। অথচ আনন্দ শর্মা যখন ওই মঞ্চে থাকার জন্য অধীরকে আক্রমণ করলেন, তখন জোটের বিষয়টা সমর্থন করেই আনন্দ শর্মাকে এক হাত নেন অধীর। আর তাতে অধীরকে কটাক্ষ করতে সুবিধাই হয় পদ্ম শিবিরের।

মঙ্গলবার বিজেপির অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও লোকসভার ফ্লোর লিডার হওয়া সত্ত্বেও মঞ্চে অপমানিত হতে হল। তারপরও সেই অপমান নিয়েই সাম্প্রদায়িকতাকে সমর্থন করতে হচ্ছে। কি করুণ অবস্থা!”

ব্রিগেড মঞ্চে অধীর চৌধুরী বক্তব্য দেওয়ার সময় যে ঘটনা ঘটে, তা ওই দিনের জন্য বেশ অস্বস্তিকর ছিল। তাঁর ভাষণের সময়ই সমাবেশের মঞ্চে ওঠেন আব্বাস সিদ্দিকি। তাঁকে দেখে মানুষের উন্মাদনা ফেটে পড়ে। ‘ভাইজান-ভাইজান’ রব আর করতালি শোনা যায় চারিপাশ থেকে। নিজের বক্তব্য থামিয়ে দেন অধীর। মঞ্চেই তখন আব্বাসের সঙ্গে মঞ্চেই কুশল বিনিময় করেন মহম্মদ সেলিম, সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুরা। এই ঘটনায় অসন্তুষ্ট হল অধীর। কোনও মতে তাঁকে অনুরোধ করে তাঁকে বক্তব্য শেষ করতে বলেন বিমান বসু। তাঁর অনুরোধ মেনে নেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তবে সে দিন আব্বাস ও অধীরের মধ্যে কোনও সৌজন্য বিনিময় হয়নি, অধীরের মুখে আব্বাস বা ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের নামও শোনা যায়নি।

এ সবের পর সোমবার অধীরকে সরাসরি আক্রমণ করে টুইট করেন আনন্দ শর্মা। তাঁর দাবি, আইএসএফের বা এই ধরনের দলের সঙ্গে জোট গান্ধী-নেহরুর আদর্শের পরিপন্থী। ব্রিগেডের মঞ্চে অধীর চৌধুরীর উপস্থিতিও ভালো চোখে দেখেননি তিনি। তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতির উপস্থিতি লজ্জাজনক। ওনাকে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে।

আরও পড়ুন: কাঠগড়ায় অধীরই কেন? শর্মার প্রশ্নে নয়া বিতর্ক

এরপরই তাঁকে কার্যত একহাত নেন অধীর চৌধুরী। সোমবার রাতেই আনন্দ শর্মাকে বার্তা দিয়ে একগুচ্ছ টুইট করেন অধীর। অধীর টুইটে লিখেছেন, সিপিআইএমের নেতৃত্বাধীন এই জোট ধর্মনিরপেক্ষ এবং বিজেপির বিভেদের রাজনীতিকে পরাস্ত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কিন্তু এরপরই অধীরের কটাক্ষ, “এই জোটকে সাম্প্রদায়িক আখ্যা দিয়ে আসলে বিজেপি মেরুকরণের অ্যাজেন্ডাকেই সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে।”

 

Next Article