নয়া দিল্লি: ভারতীয় রেল ট্র্যাকে বন্দে ভারত ছিল একটা বড় চমক। গতি, চেহারা, বৈশিষ্ট্য সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের মন কেড়েছে বন্দে ভারত। একাধিক রুটে চালু হয়েছে এই সেমি হাইস্পিড ট্রেন। তবে এবার যাত্রীদের জন্য রেলের আরও একটি উপহার হল অমৃত ভারত। আপাতত দেশের দুটি রুটে চলবে এই ট্রেন। যাত্রীদের কতটা সুবিধা হবে অমৃত ভারতে?
দূরত্ব ও সময়
‘অমৃত ভারত’ হল মূলত নন-এসি স্লিপার ট্রেন। এই ট্রেনের সফরসূচি মূলত শুরু হবে সূর্যাস্তের পর। ৮০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে অবস্থিত দুটি শহরের মধ্যে অমৃত ভারত সংযোগ স্থাপন করবে। বর্তমানে যে সব ট্রেন চলে বিভিন্ন রুটে, তাতে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগে ১০ ঘণ্টা।
তবে ‘বন্দে ভারত’ অপেক্ষাকৃত কম দূরত্ব পার করে। যে গন্তব্যে যেতে ১০ ঘণ্টার কম সময় লাগে, সেরকম রুটেই চালানো হয় বন্দে ভারত।
অমৃত ভারতের গতি
সাধারণ ট্রেনের থেকে অনেক বেশি গতিতে ছুটতে পারে ‘অমৃত ভারত।’ ১১০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতি তুলতে পারে ট্রেনটি।
‘অমৃত ভারত’-এর থেকে অবশ্য দ্রুতগতিতে ছুটতে পারে ‘বন্দে ভারত’। দিল্লি-ভোপাল রুটে এই ট্রেন চলে ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে। অন্যান্য রুটে ‘বন্দে ভারত’-এর গতি থাকে ১১০ থেকে ১৩০ কিলোমিটারের মধ্যে।
অমৃত ভারতের বৈশিষ্ট্য়?
রেল জানিয়েছে, অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রীরা কোনও ঝাঁকুনি অনুভব করতে পারবেন না। ট্রেন থামার সময় বা চালু হওয়ার সময় কোনও ঝাঁকুনি বোঝা যাবে না। দুটি কোচের মধ্যে থাকবে সেমি পার্মানেন্ট কাপলার। যার ফলে রেল যাত্রা হবে আরামদায়ক। এছাড়া এই ট্রেনকে বলা হচ্ছে পুশ-পুল ট্রেন। কারণ এই ট্রেনের দুদিকে থাকবে দুটি ইঞ্জিন। এছাড়া অমৃত ভারতে থাকছে স্লাইডিং ডোর, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট লাইট, ইলেকট্রিক্যাল কিউবিকল।
ভাড়া
এখনও রেলের তরফে অমৃত ভারত-এর সঠিক ভাড়া জানানো হয়নি। তবে, সূত্রের খবর, ১ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরত্বের ক্ষেত্রে ভাড়া হবে ৩৫ টাকা। এরপর ধাপে ধাপে বাড়বে ভাড়ার অঙ্ক।