মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণার পর কেন ভেঙে ফেলা হয় কলম?

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Jan 20, 2025 | 3:00 PM

Court: মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণার পর পেন ভেঙে ফেলার নিয়ম ব্রিটিশ যুগ থেকেই রয়েছে। ব্রিটিশদের তৈরি বিচারব্যবস্থার নিয়ম ছিল এটি, যা এখনও বর্তমান। তবে কেন এই পেন বা কলম ভেঙে ফেলা হয়, তার পিছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি তত্ত্ব।

মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণার পর কেন ভেঙে ফেলা হয় কলম?
প্রতীকী চিত্র।
Image Credit source: TV9 বাংলা

Follow Us

কলকাতা: তিলোত্তমার বিচার। আরজি কর কাণ্ডের রায়দান হল আজ। শিয়ালদহ আদালতে বিচারক অনির্বাণ দাসের বেঞ্চে এই মামলার রায়দান করা হয়। আরজি করের চিকিৎসক-পড়ুয়া খুন-ধর্ষণের মামলায় অপরাধী সঞ্জয় রাইয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে মৃত্যুদণ্ড নয়, অপরাধী সঞ্জয়কে আমৃত্যু যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে। এই সাজা নিয়ে ইতিমধ্যেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া উঠে আসছে। ফাঁসির সাজা নিয়ে এত দাবি, চর্চা, তবে জানেন কি ফাঁসির সাজা দেওয়ার পর পেন ভেঙে ফেলেন বিচারক। কেন এই কাজ করেন তিনি?

মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণার পর পেন ভেঙে ফেলার নিয়ম ব্রিটিশ যুগ থেকেই রয়েছে। ব্রিটিশদের তৈরি বিচারব্যবস্থার নিয়ম ছিল এটি, যা এখনও বর্তমান। তবে কেন এই পেন বা কলম ভেঙে ফেলা হয়, তার পিছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি তত্ত্ব।

যে তত্ত্বটি সবথেকে বেশি প্রচলিত, তা হল বিচারব্যবস্থায় কঠোরতম শাস্তি হল মৃত্যুদণ্ড। ঘৃণ্যতম অপরাধের সাজা হিসাবেই আদালত মৃত্যুদণ্ড দেয়। সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার পর পেনের নিব ভেঙে ফেলা হয় কারণ এই ধরনের অপরাধ যেন ভবিষ্যতে আর কখনও না ঘটে।

আরও একটি তত্ত্ব হল, যে কলম দিয়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়, সেই কলম দিয়ে যাতে আর কোনও শাস্তি বা আদেশ না লেখা যায়, তার জন্যও পেন ভেঙে ফেলা হয়।

আরেক পক্ষের যুক্তি হল, মৃত্যুুদণ্ড যেহেতু সর্বোচ্চ সাজা, তাই এই শাস্তি ঘোষণার পর বিচারক যাতে সেই সিদ্ধান্ত বদলাতে না পারেন, তার জন্য কলম ভেঙে ফেলা হয়।

আরও একটি প্রচলিত তত্ত্ব হল, মৃত্যুদণ্ডে অপরাধীর জীবন শেষ হয়ে যায়। তার প্রতীক হিসাবেই মৃত্যুদণ্ডের পর রায়দান যে কলমে লেখা হয়, তা ভেঙে ফেলেন বিচারক।

Next Article