Gorkha: হাতে উদ্যত কুকরি, রক্তচোখকে ভয় পায় মৃত্যুও! ভারতীয় সেনায় ফিরছে ‘ওরা’?

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Jan 20, 2025 | 2:46 PM

Indian Army: আর্থার জ্যাক তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, "আমি হাতে কুকরি নিয়ে ১০ জন গোর্খাকে ২০০ শক্রর উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখেছি। আফ্রিকায় ওয়ার অফ আটমোর রস। লড়তে লড়তে দশ জনই মারা গিয়েছেন। কিন্তু, কেউ লড়াই ছেড়ে পালাননি"।

Gorkha: হাতে উদ্যত কুকরি, রক্তচোখকে ভয় পায় মৃত্যুও! ভারতীয় সেনায় ফিরছে ওরা?
গোর্খা বাহিনী।
Image Credit source: X

Follow Us

নয়া দিল্লি: দুনিয়ার সবচেয়ে দুর্ধর্ষ যোদ্ধাদের ফেরত চায় ভারত। গোর্খা যোদ্ধাদের ফেরত চায় ভারতীয় সেনা। সম্প্রতি নেপালে গিয়ে ওদেশের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি এবং সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের সেনাপ্রধান। জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, ভারতীয় সেনা ফের গোর্খা যোদ্ধাদের পেতে আগ্রহী। আমরা দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করব। নেপাল সরকার অনুমতি দিলেই সবকিছু আগের মতো হয়ে যাবে।

২০২১ সাল থেকে ভারতীয় সেনায় গোর্খাদের যোগদান থমকে। প্রথমে কোভিডের জন্য নিয়োগ বন্ধ ছিল। পরে এনডিএ সরকার সেনায় নিয়োগে অগ্নিবীর প্রকল্প চালু করায় আপত্তি করে নেপাল। নেপাল সরকার জানিয়েছিল, আগের মতই গোর্খাদের ভারতীয় সেনায় সরাসরি যোগদানের সুযোগ দিতে হবে। কেন্দ্র সেই দাবি না মানায় নেপাল গোর্খাদের আর ভারতীয় সেনায় যোগদানের ছাড়পত্র দেয়নি। তাহলে কি কেন্দ্র গোর্খাদের ফেরত পেতে নীতি বদলের কথা ভাবছে?

সেনাপ্রধান বলছেন, অগ্নিবীর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র কেন্দ্র সরকারের। তবে আমরা গোর্খাদের যোগদান করাতে তৈরি। কয়েকমাস আগে নেপাল সফরে গিয়ে একই আবেদন জানিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তবে, অগ্নিবীর প্রকল্প ছাড়াই গোর্খাদের ভারতীয় সেনায় সুযোগ দেওয়া হবে কি না, এ নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী অবস্থান স্পষ্ট করেননি। যুদ্ধক্ষেত্রে একজন গোর্খা যোদ্ধা  ১০০ জনের সমান। গোর্খারা হারা যুদ্ধও জিতিয়ে দিতে পারেন। দুনিয়ার তাবড় মিলিটারি জেনারেল ও আর্মি চিফরা বারেবারে সে কথা বলেছেন। প্রয়াত ফিল্ড মার্শাল জেনারেল স্যাম মানেকশ’র সেই বিখ্যাত মন্তব্যটা অনেকের জানা। স্যাম বাহাদুর বলেছিলেন, কেউ যদি বলে, “আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না, তাহলে দুটো জিনিস হতে পারে। হয় তিনি মিথ্যে বলছেন। নয় তিনি গোর্খা”।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সেনাপতি আর্থার জ্যাক তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, “আমি হাতে কুকরি নিয়ে ১০ জন গোর্খাকে ২০০ শক্রর উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখেছি। আফ্রিকায় ওয়ার অফ আটমোর রস। লড়তে লড়তে দশ জনই মারা গিয়েছেন। কিন্তু, কেউ লড়াই ছেড়ে পালাননি”। তিনি লিখেছেন, “গোর্খাদের অতর্কিত হামলা, জলে-জঙ্গলে লড়াই, রক্তের ছিটে লাগানো কুকরি হাতে আক্রমণ – এঁদের মতো যোদ্ধা আমি দুনিয়ার আর কোথাও দেখিনি”।

১৯৪৮-এ পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ বা ১৯৯৯-এর কার্গিল, ভারতের সবকটা বড় যুদ্ধ জয়ে গোর্খা সেনাদের ভূমিকা কম নয়। তাই, প্রাক্তন সেনাকর্তারা বলছেন, গোর্খাদের ফেরাতে সবরকম চেষ্টা হচ্ছে ও হবে। ভারতের নেক্সট জেন কম্যান্ডো ইউনিটেও গোর্খারা থাকবেন। আধুনিক যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে যে এলিট কম্যান্ডো ফোর্স তৈরি করছে ভারত। ২০২৬-র মধ্যেই সেনায় অন্তর্ভুক্ত হবে এই নেক্সট জেন কম্যান্ডো ইউনিট।

Next Article