নয়া দিল্লি: প্রকাশ্যে পরিবারের সব সদস্যের সামনে বারবার পুরুষত্বহীন বা নপুংসক বলে সম্বোধন করা নিষ্ঠুরতার সমান। একজন স্ত্রী যদি তাঁর স্বামীকে বারবার সবার সামনে এ কথা বলতে থাকেন, তাহলে তাঁকে অসম্মান করা হয়। বিচ্ছেদ সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের। ডিভোর্সের আবেদন জানিয়ে মামলা করেছিলেন স্বামী। বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত ও বিচারপতি নীনা বনশল কৃষ্ণার ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেছে অর্থাৎ, বিচ্ছেদে সম্মতি দিয়েছে হাইকোর্ট।
স্ত্রী নিষ্ঠুর ব্যবহার করেছেন স্বামীর সঙ্গে, এই যুক্তিতেই বিচ্ছেদে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট বলেছে, স্ত্রী যদি বারবার স্বামীকে নপুংসক বলে হেনস্থা করেন ও দম্পতির যৌন জীবন নিয়ে পরিবারের লোকজনের সামনে আলোচনা করেন, তাহলে তা মানসিক হেনস্থা ও নিষ্ঠুরতা বলেই ধরে হবে।
এর আগে একটি পারিবারিক আদালতে স্বামীর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। বিচ্ছেদে অনুমতি দেয়নি পারিবারিক আদালত। এরপরই সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে দম্পতির বিয়ে হয়েছিল। এরপর সম্পর্কে তিক্ততা বাড়তে থাকে। স্বামীর অভিযোগ ছিল, স্ত্রী তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, কথায় কথায় ঝগড়া করেন।
মামলায় উল্লেখ রয়েছে, অনেক চিকিৎসার পরও দম্পতির কোনও সন্তান হয়নি। তার জেরেই সম্পর্কে দূরত্ব বাড়তে থাকে। এরপর থেকেই বাড়ির বাকি সদস্যদের সামনে তাঁর স্ত্রী তাঁকে নপুংসক বলে ডাকতে শুরু করেন বলে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি।
ডিভিশন বেঞ্চ উল্লেখ করেছে, প্রকাশ্যে বারবার অপমানিত হতে হয়েছে স্বামীকে। যে বিষয়টা একটা শারীরিক সমস্যা, তা নিয়ে এভাবে অপমান করা উচিত নয় বলে উল্লেখ করেছে আদালত। রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, স্বামী তাঁর দায়িত্ব পালন করেননি, এমন কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেননি স্ত্রী।