ভুবনেশ্বর: এসি-তে বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হয়েছে স্বামী। ঝলসে গিয়েছে গোটা দেহ। জ্বলে-পুড়ে যাওয়াসেই দেহ দেখানোও হয়েছিল পরিবারের সদস্যদের। স্বামীর এমন পরিণতি মেনে নিতে পারেননি স্ত্রী। শোকে নিজেকে শেষ করে দেন তিনি। ওড়িশার ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতালে এসি-তে বিস্ফোরণ ঘটে সম্প্রতি। একাধিক কর্মীর মৃত্যু হয় সেই ঘটনায়। মৃতের তালিকায় নাম ছিল ৩৪ বছরের দিলীপ সমান্তরায়ের। মৃত্যুর খবর শুনে তাঁর স্ত্রীই আত্মঘাতী হন। পরিবারে নামে শোকে ছায়া। দুই মৃত্যুর ঘটনায় যখন সন্তপ্ত গোটা পরিবার, তখনই খবর আসে, দিলীপ বেঁচে আছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। পুড়ে যাওয়া দেহ চিনতে পারার জন্যই ঘটে গেল এমন ভুল!
বর্ষবরণের দিনই আত্মঘাতী হন দিলীপের স্ত্রী সোনা। কিন্তু, গতকাল, শুক্রবার পরিবারে খবর যায়, দিলীপ বেঁচে আছেন। ঘটনায় যে চারজন আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজন দিলীপ। ওই হাই টেক হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন তিনি। জানা গিয়েছে, জ্যোতিরঞ্জন মল্লিক নামে এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁকে দিলীপ বলে ভুল করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত ২৯ ডিসেম্বর ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সব কর্মীই বীভৎসভাবে পুড়ে যান। ৩০ তারিখে জ্যোতিরঞ্জন মৃত বলে ঘোষণা করে হাসপাতাল। কিন্তু শনাক্তকরণে ভুল হয়ে যায়। বাড়িতে খবর যায়, দিলীপের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ততদিনে দিলীপের পরিবারের হাতে জ্যোতিরঞ্জনের দেহ তুলে দিয়েছে পুলিশ। তাঁর সৎকারও হয়ে গিয়েছে।
এই ঘটনায় দিলীপের জ্যোতিরঞ্জনের পরিবার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাদের দাবি, জ্যোতিরঞ্জনের মৃত্যুর খবর ঠিক সময়ে পাননি তাঁরা, এমনকী দেহ সৎকার করার সুযোগটুকু দেওয়া হয়নি তাঁদের। তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন, দেহ ঝলসে যাওয়ায় চিনতে পারেননি তিনিও।