নয়া দিল্লি: সম্প্রতি করোনা রোগীদের জন্য তৈরি দেশে তৈরি এক নয়া ওষুধে মিলেছে ছাড়পত্র। ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশের তৈরি নতুন এই ওষুধকে ঘিরে আশা বাড়ছে ভারতীয়দের। চলতি মাসেই সে্ ওষুধ বাজারে আসবে বলে জানা গিয়েছে। আর সেও ওষুধ ব্যবহার করলে অক্সিজেনের ওপর নির্ভরতা কমবে বলে আশা বা করছেন ডিআরডিও-র গবেষক ড. সুধীর চন্দনা। ডিআরডিও-র আবিষ্কার করা সেই ওষুধ তৈর করছে ড. রেড্ডিজ ল্যাবরেটরি। ওষুধের নাম ২-ডিঅক্সি- গ্লুকোজ বা ২ডিজি ।
দেহের কোষে ছড়াতে দেয় না করোনা ভাইরাস:
ড. সুধীর চন্দনা জানিয়েছেন, ২০২০-তে অতিমারীর শুরুতেই এই ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন তাঁরা। প্রাথমিকভাবে তাঁরা দেখেন এই ওষুধ মানুষের দেহের কোষে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া থেকে আটকায়। এরপরই অনুমোদন নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেন তাঁরা। ২০২০-র অক্টোবরে দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পূর্ণ হয়। ট্রায়ালে দারুণ সাড়া পেয়েছেন তাঁরা। আক্রান্তদের জন্য এই ওষুধ অত্যন্ত কার্যকরী হবে বলেই মনে করেন তিনি।
গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রেও কার্যকর:
কম অথবা বেশি অসুস্থ রোগীদের নিয়েই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ডিআরডিও। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীকেই পরীক্ষামূলকভাবে এই ওষুধ দিয়ে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। পাওয়া যায় কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রমাণ। তাই এই ওষুধকে সম্পূর্ণ নিরাপদ বলেই উল্লেখ করছেন গবেষকরা।
নির্ভরতা কমবে অক্সিজেনের ওপর
২ ডিজি নামে এই ওষুধ গ্লুকোজের একটি রূপ। এটি গোটা শরীরে আস্তে আস্তে ছড়িয়ে যায়। ভাইরাসে আক্রান্ত কোষগুলিতেও পৌঁছে যায় এটি। আর সেখানে ভাইরাসকে আর বাড়তে দেয় না। ভাইরাসের প্রোটিন এনার্জি প্রোডাকশন বন্ধ করে দেয় এই ওষুধ। ফুসফুসের আক্রান্ত কোষে গিয়েও সক্রিয় হবে এই ওষুধ, ফলে রোগীর অক্সিজেনের ওপ নির্ভরতা কমবে।