লখনউ: দু’বছর ধরে হদিশ নেই মেয়ের। শ্বশুরবাড়িতে ফোন করলেও কথা বলতে দেয় না জামাই। বছরের পর বছর কাটে মেয়ে না বাড়ি আসে, না ফোন করে। বিয়ে দিয়ে কি বদলে গেল মেয়ে? এই প্রশ্নই ঘুরতে থাকে মা-বাবার মনে। অবশেষে আর অপেক্ষা না করে তারা গিয়ে দ্বারস্থ হয় থানায়। দায়ের করা হয় নিখোঁজের মামলা।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে যথারীতি মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। আর তারপরেই চক্ষু চড়কগাছ। মেয়ে তো এল না, বেরিয়ে এল নরকঙ্কাল। ঘটনা উত্তরপ্রদেশের বিজনর এলাকার। শনিবার, এই ঘটনায় স্বামী ও দেওরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জেরায় অভিযুক্ত স্বামী পুলিশকে জানিয়েছে, সন্দেহের বশেই স্ত্রী আসিফাকে ‘খুন’ করেছে সে। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে নিজের ভাই ও কাকিমার সাহায্য নিয়ে স্ত্রীকে খুন করেন অভিযুক্ত স্বামী কামিল। তারপর পাশেরই একটি পরিত্য়ক্ত এলাকায় মৃতদেহটি মাটি চাপা দিয়ে দেয়। সেই ঘটনার পর আসিফার বাড়ি থেকে ফোন এলেও কোনও ভাবে বাড়তি কথা বার্তায় যেত না কামিল।
শনিবার কামিলের কথা মতোই আসিফার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বস্তা বন্দি অবস্থায় মাটির নীচে চাপা দেওয়া ছিল সেই দেহটি। বস্তার মুখ খুলতেই দেখা যায়, নরকঙ্কাল। যা আপাতত ফরেন্সিক টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে পুলিশের তরফে।