নয়া দিল্লি: তাঁর পিতামহই প্রথম অষ্টাঙ্গ যোগ প্রবর্তন করেছিলেন। সেই পথেই যোগ শিক্ষা শরৎ জইসের। দেশে-বিদেশে বহু মানুষকে যোগা শিখিয়েছেন তিনি। এমনকী ম্যাডোনার মতো তারকাকেও প্রশিক্ষণ দিয়েছেন একসময়। সেই যোগগুরুর আকস্মিক মৃত্যু মাত্র ৫৩ বছর বয়সে। এই মৃত্যু অনেকগুলো প্রশ্ন তুলেছে। কী এমন হল যে প্রতিনিয়ত যোগসাধনা করা একজন মানুষ এমন অসময়ে চলে গেলেন?
জানা গিয়েছে, ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ায় হাইকিং করছিলেন তিনি। সেই সময় এই ঘটনা ঘটে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু শারীরিকভাবে যিনি ফিট, তাঁর এমন মৃত্যুতে হতবাক অনেকেই। তবে শরৎ জইস একা নন, মাস কয়েক আগে ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি লেক ২২-এ হাইকিং করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন ও তাঁর মৃত্যু হয়। ইতালিতে পাহাড়ে চড়ার সময় সম্প্রতি এক ৫৬ বছরের ব্যক্তিরও মৃত্যু হয় একইভাবে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, হাইকিং করা কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর?
হাইকিং করা বা জোরে হাঁটার ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রের ওপর যে চাপ পড়ে, এ কথা মেনে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ওই সময় হার্ট রেট বেড়ে যায়। আবার অনেকে বলছেন, হাইকিং করা বা জোরে হাঁটা হৃদযন্ত্রের জন্য ভাল। তবে আগে থেকে যদি হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকে, তাহলে চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করে তবেই হাইকিং করা উচিত। আর শুরুতে নীচু জায়গাতেই হাইকিং করা উচিত।
২০০৭ সালে একটি গবেষণায় দেখা যায়, এইভাবে পাহাড়ে চড়ার সময় আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আরও দেখা গিয়েছে যে খাবার ও জল খাওয়ার সঙ্গে পাহাড়ে ওঠার সময়ের যত বেশি ফারাক থাকে, তত বেশি হৃদরোগের সম্ভাবনা থাকে। তাই চিকিৎসকরা মনে করছেন, জলের অভাবে এমনটা হতে পারে। তাই হাইকিং করার সময় প্রচুর জল পান করা উচিত। যদি শ্বাসকষ্ট হয়, বা ক্লান্ত লাগে অথবা ঘুম পায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রাম নেওয়া উচিত।