কলকাতা: ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক নাবালিকার। সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ ছাদে সূর্য পুজো করতে গিয়েছিল সে। আচমকাই বিকট শব্দ শুনে বাইরে ছুটে যান বাড়ির লোকেরা। দেখেন মাটিতে পড়ে রয়েছে ১৪ বছরের মেয়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। হরিদেবপুরের ঘটনা।
হরিদেবপুরের বনমালী ব্যানার্জি রোডের বাসিন্দা ভরতকুমার আগরওয়াল। তাঁরই ১৪ বছরের মেয়ে গুঞ্জন। হাওড়ার অগ্রসেনী বালিকা শিক্ষাসদনে নবম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল সে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই তার প্রথম কাজ ছিল সূর্য প্রণাম। স্নান সেরে সূর্য পুজো করে তারপর অন্য কাজ। এদিনও সকালে সূর্য পুজো করতেই ছাদে গিয়েছিল গুঞ্জন। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই সময়ই হঠাৎ দোতলার ছাদ থেকে পড়ে যায়। তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
গুঞ্জনের মাসি বন্দনা গুপ্তা জানান, “ও রোজই পুজো করত। আজ যে এমন ঘটনা ঘটে যাবে ভাবতেও পারছি না। ওর মা আমাদের সাড়ে ৯টার সময় ফোন করেছে। খবর পেয়ে আমার স্বামী, আমি ছুটে আসি। এসে দেখি পাড়ার লোকেরা ভিড় করে আছেন। মেয়েটাকে বের করছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে শরীর।”
আরও পড়ুন: আজই ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হল ছোট্ট ‘লড়াই’কে… আফশোস! শুধু আদর পেল না মায়ের
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। এখনও অবধি তাদের নজরে অস্বাভাবিক কিছু আসেনি বলেই সূত্রের খবর। পরিবারের তরফেও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। দুর্ঘটনাবশতই এই মৃত্যু বলে মনে করছেন প্রতিবেশীরাও। তবে দেহটি ময়না তদন্ত করা হবে। তারপরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।