কলকাতা: বর্ষা পড়তেই শুরু মশার উৎপাত। ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপে অতিষ্ঠ রাজ্যবাসী। প্রাণও হারিয়েছেন কয়েকজন। এর মধ্য আবার ডেঙ্গি ম্যালেরিয়ায় কাবু কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের কর্মী আবাসন। জানা গিয়েছে, ওই আবাসনের সাত বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ম্যালেরিয়ার শিকার অন্তত ১৫ জন। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকজনের আবার একসঙ্গে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া দুটোই আক্রান্ত হয়েভর্তি ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। এখানেই শেষ নয়, ডেঙ্গি হানা দিয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়াদের হস্টেলেও। ৪ জন পড়ুয়া আক্রান্ত বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
এ দিকে, আবাসনে রোগের প্রকোপের দায় কার? এই নিয়ে শুরু ঠেলাঠেলি। কাউন্সিলর বিমল সিংহ জানিয়েছেন, “আবাসন চত্বর পূর্ত দফতরের অন্তর্গত। তবুও কেএমসি সাফাই অভিযানের কাজ করে। এই পরিস্থিতির জন্য আবাসিকদের অসচেতনাও দায়ী।” যদিও, কাউন্সিলরের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত নন এলাকাবাসী।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ডেঙ্গি আতঙ্কে ভুগছে রাজ্য। সম্প্রতি দক্ষিণ দমদমে এক পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়। শিশু-কিশোর-যুবকদের অকাল মৃত্যুতে বাড়ছে উদ্বেগ। চিকিৎসকদের কথায়, বর্তমানে ডেঙ্গিতে জ্বরের স্থায়িত্ব এখন বেড়েছে। শুধু তাই নয়, এই রোগে বাড়ছে শারীরিক জটিলতা। শহরাঞ্চল তো বটেই এডিস মশার দাপট বেড়েছে গ্রামেও। রানাঘাট, আমডাঙা, বনগাঁ, হরিনঘাটা, শান্তিপুর, হাবরা, চাকদহে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য ভবনের পরিসংখ্যানই বলছে সে কথা।
এ দিকে, কলকাতা পুরসভার তরফে বলা হয়েছে ডেঙ্গি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের অভিযোগ, মশা মারার তেল বা ধোঁয়া ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে না পুরসভার তরফে। তাই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি। যদিও কলকাতা পুরসভার তরফে দেওয়া হচ্ছে সচেতনতা বার্তা, চলছে লাগাতার প্রচার। জল যাতে কোথাও না জমে সে বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে নাগরিকদের।