কলকাতা: মাধ্যমিক পরীক্ষার (Madhyamik Exam 2024) কয়েক ঘন্টা আগে শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনায় গ্রেফতার দু’জন। গ্রেফতার ভাইরাল ভিডিয়োতে থাকা তৃণমূল নেতা প্রবীর সর্দার ওরফে ছোটন। গ্রেফতার ছোটনের সাগরেদ অসীম ইশ্বর। দু’জনেরই বাড়ি বিষ্ণুপুর থানা এলাকায়। যদিও এফআইআরে নাম থাকা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ ও তৃণমূল যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আকবর আলি খানকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এফআইআরে নাম থাকা পঞ্চায়েত সদস্য অলোক নাড়ু ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মনিজুর রহমান মণ্ডলও এখনও গ্রেফতার হয়নি।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর এম এন বিদ্যামন্দিরে শিক্ষক পেটানোর ঘটনা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই জোর শোরগোল চলছে রাজনৈতিক মহলে। দোষীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবিও উঠেছে। ঘটনায় এর আগে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু, খোঁজ মিলছিল না মূল অভিযুক্ত প্রবীরের। বিষ্ণুপুরের অন্তর্গত চকবলাইবাগ গ্রামে তাঁর বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছিল টিভি নাইন বাংলা। কিন্তু, তাঁর কোনও খোঁজ দিতে পারেননি প্রবীরের মা-মেয়ে। স্পষ্ট জানিয়েছিলেন তাঁদের সঙ্গে এখন যোগাযোগ নেই প্রবীরের। এরইমধ্যে সেই প্রবীর গ্রেফতার হতেই তা নিয়ে নতুন করে চাপানউতর শুরু হয়েছে।
আগেই শোনা গিয়েছে প্রবীর সর্দার আবার স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। সে কারণেই কী দীর্ঘসময় সে আত্মগোপন করে থাকতে পেরেছে? সেই প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। সূত্রের খবর, ধৃত অসীম ঈশ্বর পনাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঘবপুর তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি। অন্যদিকে প্রবীর সর্দার পানাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্যের স্বামী।
এই কাণ্ডের জল আবার ইতিমধ্যেই গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সাফ বলেছিলেন, “গ্রেফতারের ক্ষেত্রে কোনও চাপ থাকলে আজ তাঁদের জন্য সবচেয়ে খারাপ দিন হবে। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই তাঁদের গ্রেফতার করুন।”