কলকাতা ও মুর্শিদাবাদ: রাজ্যে ফের ডেঙ্গি আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু। নদিয়ার চাকদার বাসিন্দা রাজেশ বসুকে গত ৯ অক্টোবর ভর্তি করানো হয়েছিল কলকাতায় বেলেঘাটা আইডিতে। বুধবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ৩০ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির। হাসপাতালে ভর্তির কিছুদিন আগে থেকেই জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। কিডনির সমস্যাও ছিল ওই রোগীর। এর পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজেও আরও এক ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। অন্তরা চট্টোপাধ্যায় নামে বছর ৪৩-এর ওই মহিলাকে আইসিইউ-তে ভর্তি রাখা হয়েছিল। রাজ্য প্রশাসনের তরফে ডেঙ্গি মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ করলেও এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। অসমর্থিত সূত্রে খবর, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৬৩ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
ডেঙ্গি পরিস্থিতি যা এতদিন শহরকেন্দ্রিক একটি উদ্বেগের কারণ ছিল, তা এখন গ্রামাঞ্চলেও মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলতে শুরু করে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। শুরু হয়েছে রাজনীতির কাদা ছোড়াছুড়ি। এদিকে দুর্গাপুজোও এগিয়ে আসছে। পুজোর মরশুমে ডেঙ্গি পরিস্থিতি যাতে নতুন করে উদ্বেগের কারণ না হয়ে উঠে, তা নিশ্চিত করতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন। বুধবারও সব জেলার জেলাশাসক, স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক সেরে নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
এদিকে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে পুজোর আগে দু’দিন ধরে বিশেষ কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। মশার বংশ বিস্তার বন্ধ করতে আগামী ১৫-১৬ অক্টোবর সব গ্রাম, পুরসভার ওয়ার্ড, হাসপাতাল, স্কুল ও সরকারি দফতরগুলিতে সাফাই অভিযান চালানো হবে। রেল ও মেট্রো কর্তৃপক্ষকেও অনুরোধ করা হয়েছে ওই দুই দিন নিজেদের আওতাধীন চত্বরগুলি সাফাই করার জন্য।