কলকাতা: ছোট্ট শরীরে বাসা বেঁধেছে জটিল রোগ। বিরল রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসা পাওয়া মানুষের অধিকার। এই বিষয়ে রয়েছে জাতীয় নীতি, রয়েছে আদালতের নির্দেশও। তারপরও ওষুধ না পেয়ে ধুঁকছে শিশুরা। এমনই অভিযোগ উঠেছে কলকাতার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম-এর বিরুদ্ধে। এর আগেও এমন অভিযোগ উঠেছিল। সে সময় টাকার অভাবের কথা বলেছিল স্বাস্থ্য ভবন। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এসএসকেএম-এ এসেছে তিন কোটি টাকার ফান্ড। তা সত্ত্বেও কেন ওষুধ অমিল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
অভিযোগ, অর্থাভাবে মাঝপথেই থমকে গিয়েছে বিরল রোগের চিকিৎসা। চার শিশুর প্রাণ কার্যত জীবন-মৃত্যুর সুতোয় ঝুলছে। হাইকোর্টের নির্দেশে চিকিৎসা শুরু গত বছর থেকে এসএসকেএমে শুরু হয় বিরল রোগের চিকিৎসা। জাতীয় নীতি (২০২১) মেনে অর্থও বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। একবছরের মধ্যে কী এমন ঘটল যে বন্ধই হয়ে গেল মহার্ঘ ওষুধ! ওষুধের অভাবে সন্তানের জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন বাবা-মা।
গত মে মাসেই এসএসকেএম-কে ৩ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। টিভি নাইনের হাতে রয়েছে সেই অর্থপ্রাপ্তির এক্সক্লুসিভ নথি। আক্রান্ত চার শিশুর চিকিৎসা পাওয়ার অধিকারকে সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ। শিশুদের পরিবারের অভিযোগ, রাজ্য জানিয়েছে অর্থাভাবে বন্ধ করা হয়েছে ওষুধ। লাইসোসমল স্টোরেজ ডিসঅর্ডারসের অন্তর্গত গাউচার (টাইপ ওয়ান), এমপিএস ওয়ানে আক্রান্ত এই চার শিশু। অসুস্থ অরিজিৎ মণ্ডল ওষুধ পাচ্ছে না গত ২৭ এপ্রিল থেকে, মইফুজ আলি ওষুধ পায়নি গত ২৮ এপ্রিলের পর থেকে, গত ৩০ মে-র পর আর ওষুধ পায়নি ইমরান ঘোষি আর গত ২০ জুনের পর থেকে ওষুধ পায়নি অদ্রিজা মুদি। কবে মিলবে ওষুধ? উত্তর নেই কর্তৃপক্ষের কাছে।