College Fest: ফেস্টের নামে ৪ লাখ আত্মসাতের অভিযোগ, TMCP নেতার বিরুদ্ধে আন্দোলনে দলেরই কর্মীরা

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায় | Edited By: জয়দীপ দাস

Jan 30, 2024 | 11:26 PM

College Fest: প্রিন্সিপাল প্রদীপ কুমার মাইতি ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি। তবে তিনি জানান, বিবেকের সঙ্গে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়েছে। কিছুদিন সময় চেয়েছে বিবেক। ১৫ ফেব্রুয়ারি সোশ্যাল করার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছে।

College Fest: ফেস্টের নামে ৪ লাখ আত্মসাতের অভিযোগ, TMCP নেতার বিরুদ্ধে আন্দোলনে দলেরই কর্মীরা
কলেজে বিক্ষোভ
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: কলেজের অ্যানুয়াল সোশ্যালের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, প্রায় এক বছর আগে জিবি নির্বাচিত বিবেক সিং নামে তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে (এখন পাস আউট) কলেজের সোশ্যাল আয়োজনের দায়িত্ব দেয় জিবি। সেই মতো চার লাখ টাকা বিবেকের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে সোশ্যালের অনুষ্ঠান বাবদ দেওয়া হয়। ইউনিয়নের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকায় বিবেকের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হয়। বছর গড়িয়ে গেলেও কলেজের অনুষ্ঠান আর হয়নি। কলেজের সোশ্যালের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আনন্দমোহন কলেজের অধ্যক্ষের ঘর ঘেরাও করে পড়ুয়ারা। যদিও আন্দোলনরত ছাত্রদের অনেকের হাতেই দেখা যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পতাকা। তবে কী ঘটনার পিছনে রয়েছে ছাত্র সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? উঠছে প্রশ্ন। 

প্রিন্সিপাল প্রদীপ কুমার মাইতি ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি। তবে তিনি জানান, বিবেকের সঙ্গে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়েছে। কিছুদিন সময় চেয়েছে বিবেক। ১৫ ফেব্রুয়ারি সোশ্যাল করার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছে। কলেজের উল্টোদিকে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা। কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বিবেকের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে টাকার দেখভালের দায়িত্ব আপাতত ফাইন্যান্স কমিটি দেখবে। তারাই টাকার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানাচ্ছেন প্রিন্সিপাল। 

কলেজের ছাত্র রোহন কুমার সাউ বলছেন, “আমরা যখন কলেজে ভর্তি হই তারপর আমরা এইসব ঘটনা জানতে পেরেছি। সোশ্যালের নামে এপ্রিল মাসে ওরা ৪ লক্ষ টাকা তোলে। তুলছে প্রধানত বিবেক সিং। ও কিন্তু পাস আউট। বহিরাগত। এখন কলেজের সঙ্গে ওর কোনও সম্পর্ক নেই। তবে যখন টাকাটা তোলে তখন ও শেষ সেমেস্টারে পড়ে। ইউনিয়নের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না। তখনই চার লক্ষ টাকা তোলে। কিন্তু, তারপর এক বছর কেটে গেলেও ওরা কোনও অনুষ্ঠান করেনি। ওদের কারা দায়িত্ব দিয়েছিল আমরা জানি না। ওরা প্রিন্সিপালের সঙ্গে বসেছিল। এখন প্রিন্সিপাল বলছেন এটা আমার একার নয়, অনেকে ছিল। মিটিং করে কথা বলে তারপর টাকা দিয়েছি বলে উনি জানাচ্ছেন। কিন্তু, অনুষ্ঠান না হওয়ায় বারবার চিঠি দেওয়া হলেও ওরা কোনও জবাব দেয়নি। একদিনে আগে আমরা জানতে পারি ওরা সিদ্ধান্ত নেয় ওরা অনুষ্ঠান করবে না। টাকা তো আমাদের। ওই টাকাটা আমাদের কাজে লাগা উচিত। ওই টাকা ওরা নেবে কেন? এটাই আমাদের প্রশ্ন। আমরা জানি বিবেক ওর পার্সোনাল অ্য়াকাউন্টে টাকাটা নিয়েছে।”

Next Article