Fraud Alert: এক মাস টাকা রাখলেই বাম্পার রিটার্ন! লোভনীয় অফারেই প্রতারণার কারবার নিউটাউনে

Newtown: নিউটাউন চত্বরে কর্পোরেট কায়দায় অফিস খুলে চলত এই প্রতারণার চক্র। মানুষকে বোকা বানিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রতারণাচক্র খোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠছে।

Fraud Alert: এক মাস টাকা রাখলেই বাম্পার রিটার্ন! লোভনীয় অফারেই প্রতারণার কারবার নিউটাউনে
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 23, 2023 | 8:08 PM

কলকাতা: কলকাতায় ফের প্রতারণার চক্র (Fraud Case)। সরল সাধাসিধে মানুষদের বোকা বানিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই নিউটাউন (Newtown) চত্বরে এক অফিসে অভিযান চালিয়ে ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর পুলিশ। জানা গিয়েছে, হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা জওহরলাল রক্ষিত নামে এক ব্যক্তি গতবছরের নভেম্বরে অভিযোগ জানিয়েছিলেন পুলিশের কাছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। মোট ১০ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। নিউটাউন চত্বরে কর্পোরেট কায়দায় অফিস খুলে চলত এই প্রতারণার চক্র। মানুষকে বোকা বানিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রতারণাচক্র খোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠছে।

কীভাবে চলত এই প্রতারণার চক্র?

আজকাল ব্যাঙ্কগুলিতে সুদের হার অনেকটাই কমে গিয়েছে। ফলে অনেকেই ব্যাঙ্কে টাকা রাখার বদলে বিকল্প পথ খুঁজছেন, যেখানে তাঁরা বেশি রিটার্ন পাবেন। আর এই পরিস্থিতিকেই কাজে লাগাচ্ছিল প্রতারকরা। ৩০ দিনের জন্য টাকা বিনিয়োগ করলে, ৩১ দিনের মাথায় বাম্পার রিটার্নের অফার দিচ্ছিল। যত টাকা রাখবেন, একমাস পরে তার উপর ৪০ শতাংশ রিটার্ন পাবেন। এমনই লোভনীয় অফার দিচ্ছিল। আর এই প্রতারণার ফাঁদে পা দিলেই সব শেষ। এভাবেই লোকজনকে ঠকিয়ে, তাঁদের কষ্ট করে অর্জিত টাকা নিয়ে নিচ্ছিল প্রতারকরা। সবমিলিয়ে ২ কোটি ৯ লাখ টাকার প্রতারণা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।

উত্তরপাড়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। বেশ কয়েকমাস ধরে তদন্ত চালানোর পর নিউটাউন চত্বরে একটি অফিসে হানা দেন বিধাননগর থানার পুলিশ আধিকারিকরা। সেই অভিযানে মনি ময়ঙ্ক, রবি চৌধুরী, প্রিয়া ভট্টাচার্য সরকার, তাজদার হোসেন আনসারি, কোশিক কবিরাজ ও অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় নামে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ধৃত ওই ছয়জনকে জেরা করে এই লোক ঠকানোর কারবারের আরও তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা।