SSKM Hospital: বেড জুটে যায় সুজয়কৃষ্ণদের, ১৮ ঘণ্টা বেড না পেয়ে সেই SSKM-এই মৃত্যু আখলিমার

Sourav Dutta | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 09, 2023 | 4:22 PM

SSKM Hospital: খোলা আকাশের নীচে সারা রাত কাটিয়ে শনিবার বহির্বিভাগে লাইন বেডের জন্য তাতেও জোটেনি বেড। এরপর শনিবার দুপুর ২ টো নাগাদ হাসপাতাল চত্বরেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন জগৎবল্লভপুরের মাজুর বাসিন্দা আখলিমা বেগম।

SSKM Hospital: বেড জুটে যায় সুজয়কৃষ্ণদের, ১৮ ঘণ্টা বেড না পেয়ে সেই SSKM-এই মৃত্যু আখলিমার
মৃত আখলিমার পরিজনেরা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: রাজ্যের অন্যতম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম। হাওড়া থেকে ২৪ পরগনা, বহু মানুষের কাছে ভরসার অপর নাম এসএসকেএম। সেখান গিয়ে ১৮ ঘণ্টা বেড না পাওয়ার পর মৃত্যু হল আখলিমা বেগমের। ৭০ বছর বয়সী আখলিমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাওড়ার জগৎবল্লভপুর থেকে। বুকে ব্যাথা হওয়ায় তাঁর পরিবার চেয়েছিলেন এসএসকেএম-এর কার্ডিওলজি বিভাগে চিকিৎসা হোক বৃদ্ধার। বেড পাওয়া তো দূরের কথা খোলা আকাশের নীচেই তাঁকে কাটাতে হল ১৮ ঘণ্টা। শনিবার দুপুরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি। সেই কার্ডিওলজি বিভাগেই যখন ভর্তি রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, তখন হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন মৃতের পরিজনেরা।

শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত এস‌এসকেএমের জরুরি বিভাগ থেকে কার্ডিওলজি বিভাগে ঘোরাফেরা করেছে তাঁর পরিবার। কার্ডিওলজি থেকে বেড না থাকার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের। পাঠিয়ে দেওয়া হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে রেফার সংক্রান্ত গাইডলাইন কি মানল না এসএসকেএম? ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে আবার ফিরতে হয় এস‌এসকেএমে।

খোলা আকাশের নীচে সারা রাত কাটিয়ে শনিবার বহির্বিভাগে লাইন বেডের জন্য তাতেও জোটেনি বেড। এরপর শনিবার দুপুর ২ টো নাগাদ হাসপাতাল চত্বরেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন জগৎবল্লভপুরের মাজুর বাসিন্দা আখলিমা বেগম। জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে যখন তিনি পাঞ্জা লড়ছেন, তখন আইসিইউ-তে বেড জোটে আখলিমার। কিছুক্ষণের মধ্য়েই সব শেষ। এমনকী ইসিজি রিপোর্টও স্বাভাবিক বলে জানানো হয়েছিল হাসপাতের তরফে।

চোখের সামনে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্ররা যখন উদাহরণ তখন প্রশ্নটা তুলছেন আখলিমার সন্তানেরা। বৃদ্ধার ছেলে বলেন, দালালে ভরে গিয়েছে। যে টাকা দিতে পারবে সে সিট পাবে। টাকা দিয়ে লাইন বিক্রি হচ্ছে, বেড বিক্রি হচ্ছে।

চিকিৎসক সংগঠনের নেতা মানস গুমটা বলেন, “দিনের পর দিন এরকম চলতে পারে না। এসএসকেএম-এর মতো ঐতিহ্যবাহী হাসপাতাল, কার্ডিওলজির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে এমন অবস্থা চলতে পারে।” প্রশাসনিক ও রাজমৈতিক চাপে সাধারণ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

Next Article