Calcutta High Court: ‘লালবাজারে নিয়ে গেলেন কেন? সবাইকে নিয়ে যান?’, ত্রিধারা-কাণ্ডে একের পর এক প্রশ্ন রাজ্যকে
Calcutta High Court: ধৃতদের বয়ান (স্টেটমেন্ট) কোন অফিসার রেকর্ড করেছেন, সেটাও জানতে চান বিচারপতি। রাজ্য জানায়, তদন্তকারী অফিসার ও রবীন্দ্র সরোবর থানার টিম বয়ান রেকর্ড করে।
কলকাতা: ত্রিধারা-কাণ্ডে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য তথা পুলিশ। ধৃত ৯ জনকেই জামিনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ষষ্ঠীর দিন সন্ধ্যায় ত্রিধারার পুজো মণ্ডপের সামনে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ৯জনকে। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরব হন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। আন্দোলনকারীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে জামিনের নির্দেশ দেওয়া হয়। শুক্রবারের শুনানিতে একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে।
জামিন দেওয়া হলেও একাধিক শর্ত দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ, আর কোনও পুজো মণ্ডপের ২০০ মিটারের মধ্যে প্রতিবাদ জানানো যাবে না। রাজ্য সরকারের কার্নিভালে কোনও বাধা দেওয়া যাবে না। ধৃতেরা আর কোনও পুজো মণ্ডপে প্রতিবাদ জানাতে পারবেন না।
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, জাস্টিস চাওয়াটা তো কোনও অপরাধ নয়। এটা কোনও কগ্নিজেবল অফেন্স হতে পারে না। জনস্বার্থ বিঘ্নিত হয়েছে। কী কী ধারা দেওয়া হয়েছে, সেটাও উল্লেখ করা হয়।
বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘কী বাজেয়াপ্ত হয়েছে?’। বিচারপতির আরও প্রশ্ন, ‘কেন লালবাজার? পুলিশ হেফাজতে সবাইকে কি লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়?’ রাজ্য জানায়, ‘লালবাজারে সেন্ট্রাল লক আপ রয়েছে। থানায় এতজনকে রাখার ব্যবস্থা নেই।’
ধৃতদের বয়ান (স্টেটমেন্ট) কোন অফিসার রেকর্ড করেছেন, সেটাও জানতে চান বিচারপতি। রাজ্য জানায়, তদন্তকারী অফিসার ও রবীন্দ্র সরোবর থানার টিম বয়ান রেকর্ড করে।
যিনি অভিযোগ করেন, সেই বিট্টু কুমার ঝাঁ কে? জানতে চায় আদালত। রাজ্য জানায়, উনি একজন স্থানীয় বাসিন্দা। বিচারপতির প্রশ্ন, ‘উনি কী করে এদের সকলের নাম জানলেন?’ রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ‘এরা একে অপরের নাম ধরে ডাকছিল।’
বিচারপতি রাজ্যকে আরও প্রশ্ন করেন, ‘ওই মণ্ডপে কি প্রতিবাদ জানানো অপরাধ?’ রাজ্য বলে, ‘পূর্ব পরিকল্পনামাফিক ওখানে যাওয়া হয়েছে। শান্তি নষ্ট করার জন্য যাওয়া হয়েছে।’