বেহালা: পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ের নীচ থেকে চিটফান্ড (Chit Fund Company) সংস্থা নথি নিয়ে পালানোর চেষ্টা। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি দেখতে পেয়ে বাধা দেন তাদের। এরপর তারা ওইসব কাগজপত্র ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বিল্ডিংয়ের নীচ থেকে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার (Behala) শখেরবাজার এলাকায়। ওই এলাকায় মঙ্গলম গ্রুপের চিটফান্ড সংস্থার অফিস ছিল। সেই অফিসটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আজ সকালে ওই বিল্ডিংয়ের নীচ থেকে চিটফান্ড সংস্থার বেশ কিছু বস্তাবন্দি নথি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল তিন ব্যক্তি। যদিও ওই তিন ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। কী কারণে, কারা এই সব নথি নিয়ে যাচ্ছিল, কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল, সেই সব বিষয় এখনও অস্পষ্ট।
উল্লেখ্য, রাজ্যে যখন সারদা গোষ্ঠীর চিটফান্ড কেলেঙ্কারির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে, সেই সময়ই এই মঙ্গলম গ্রুপের নামও উঠে আসে। এই সংস্থার বিরুদ্ধে চিটফান্ডের নামে বহু দরিদ্র মানুষের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। পরবর্তীতে মঙ্গলম গ্রুপের ডিরেক্টর রুনা শিকদারকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। ২০১৪ সালে বেহালার বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ঠাকুরপুকুর-ডোকা এলাকায় প্রায় ১৩০ জন বিনিয়োগকারীর থেকে ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই চিটফান্ড সংস্থার বিরুদ্ধে। বেহালার শখেরবাজার এলাকায় অফিস ছিল ওই সংস্থার।
চিটফান্ড কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে আসতেই ওই সংস্থার অফিস পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল এত বছর ধরে। কিন্তু আজ ভোরে আনুমানিক ৩টে-৪টে নাগাদ সন্দেহভাজন তিন ব্যক্তিকে ওই পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ের আশপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখেন স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। ওই বিল্ডিংয়ের নীচ থেকে বস্তাবন্দি কিছু নথি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে তারা। সেটি দেখা মাত্রই তাদের বাধা দেন স্থানীয় লোকজন। এরপরই তারা সেই সব নথিপত্র সেখানে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায়। বিল্ডিংয়ের নীচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে চিটফান্ড সংস্থার কাগজপত্র। নথিগুলি হল মূলত, যাঁরা এই চিটফান্ডে বিনিয়োগ করেছিলেন, তাঁদের কাগজপত্র। কিন্তু কী কারণে অজ্ঞাতপরিচয় ওই তিন ব্যক্তি এই নথিপত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল, সেই বিষয়টি এখনও অস্পষ্ট। এলাকার বাসিন্দারা ইতিমধ্যেই খবর দিয়েছেন পুলিশে। যদিও শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ এখনও ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছয়নি। ওই নথিগুলি যাতে কেউ আবার নিয়ে যেতে না পারে, সেদিকে নজর রাখছে স্থানীয় বাসিন্দারাই।