কলকাতা: ময়দান থানায় গিয়ে সিএবির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন শহরের এক ক্রিকেটপ্রেমী। গার্ডেন রিচ এলাকার বাসিন্দা প্রসাদ খান নামে ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর কাছে সিএবির লাইফ মেম্বারশিপ রয়েছে। রবিবার ইডেনের ম্যাচের জন্য টিকিটের হাহাকার রয়েছে চারিদিকে। সেই হাহাকারের মধ্যে টিকিট পাননি প্রসাদ খান নামে সিএবি-র ওই লাইফ মেম্বার। এমন অবস্থায় তাই টিকিট না পেয়ে সিএবি-র বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। ময়দান থানায় সিএবি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন।
প্রসাদ খানের বক্তব্য, প্রতি বছর তিনি একটি করে টিকিট পান। কিন্তু এবছর কেন এমন হল? তা নিয়েই বেজায় চটেছেন সিএবি-র ওই লাইফ মেম্বার। একরাশ হতাশা নিয়ে বলছেন, “আমি টিকিট পাব না কেন? এটা তো আমার অধিকার। প্রতি বছর সাধারণত একটা করে খেলা দেখার সুযোগ পাওয়া আমার আইনত অধিকার। সেখানে যদি একটা টিকিটও না পাই! এটা তো অসম্ভব ব্যাপার।” ময়দান থানার বাইরে সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে প্রসাদবাবু জানালেন, তিনি সিএবি-র থেকে ক্ষতিপূরণও দাবি করবেন। বললেন, “আমি ক্ষতিপূরণ চাইছি। ১০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চাইছি।” বিশ্বকাপের ম্যাচ ঘিরে দেদার কালোবাজারি অভিযোগও উঠে আসে তাঁর মুখে।
অভিযোগকারী জানান, থানায় তাঁর অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করা হয়েছে এবং পুলিশের তরফে তাঁকে বলা হয়েছে কনজিউমার ফোরামে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানাতে।
উল্লেখ্য, শুধু প্রসাদবাবুই নন, সিএবি-র আরও অনেক লাইফ মেম্বারের মধ্যেই ক্ষোভ জন্মেছে বিশ্বকাপের ম্যাচের টিকিট না পেয়ে। গত বৃহস্পতিবার ইডেন গার্ডেন্সের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সিএবি-র লাইফ মেম্বারদের একাংশ।
সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করছেন যে এবার ৫০ শতাংশেরও কম টিকিট সিএবি হাতে পেয়েছে। তাঁর বক্তব্য, “যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের মনের অবস্থা আমরা বুঝতে পারি। কিন্তু আমাদের অবস্থাও বুঝতে হবে। আমাদেরও হাত-পা বাঁধা। আইসিসি-র ইভেন্ট। বিসিসিআই, আইসিসিরও নিজস্ব কোটা আছে।”