অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ
Image Credit source: Facebook
কলকাতা: মেয়ো রোডে TMCP-র প্রতিষ্ঠা দিবসে বিজেপিকে নিশানা তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বনধ নিয়ে বিজেপিকে তোপ দাগেন তিনি। কী বললেন তিনি, দেখুন একনজরে…
KEY HIGHLIGHTS
- ধর্মঘট করে বাংলাকে অচল করতে চাইছে বিজেপি। ধর্মঘট কীভাবে প্রতিহত করতে হয়, মানুষ জানে। ছাত্র পরিষদের দিনই কেন ধর্মঘট? আসলে সর্বনাশা বনধ ডেকে বাংলাকে অচল করে দিতে চাইছে বিজেপি।
- যারা লাশের রাজনীতি করছে , নারী বিরোধী বিজেপি র কাছে বাংলার মানুষ শিখবে না । মমতার পদত্যাগ যারা দাবি করছে তাদের জানাই নারী নির্যাতনের এক উত্তরপ্রদেশ , দুই মধ্যপ্রদেশ রাজস্থান , মহারাষ্ট্র। সব ডবল ইঞ্জিন সরকার। পারলে এই চার জন মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করুন তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করবেন ।
- ভারতবর্ষে ধর্ষণবিরোধী কঠোর আইন আসা উচিত। টাইম বাউন্ড। এক মাস থেকে দুমাসের মধ্যে ট্রায়াল ও কনভিকশন শেষ করে দোষী সাব্যস্ত করার মতো কঠোর আইন ভারতের সংসদে আসা উচিত কিনা বলুন। বিজেপি নেতাদের বলব, যাঁরা নবান্ন অভিযান করে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছেন, তাঁরা সংসদ অভিযান করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ধর্ষণবিরোধী আইন আনার জন্য দাবি করুন।
- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে দাবি জানান, বিজেপির সভাপতির কাছে দাবি জানান। আমি বলছি, ওঁদের ক্ষমতা নেই, ধর্ষণ বিরোধী আইন ভারতে আনার। কারণ এই আইন এলে সবথেকে আগে বেশি যারা জেলে যাবে, তারা বিজেপির লোক। পাতা খোর , ধর্ষণকারী সব বিজেপি করে।
- কালকে যারা রাস্তায় নেমেছিল, কোনও ভদ্রলোককে আপনি দেখবেন না। এমন এমন ছাত্র কাল রাস্তায় নেমেছে, কেউ বলছে, আমি বিএসসি-তে অনার্স নিয়ে কমার্স পড়ছি। কেউ বলছে, আমার ২৩ বছর বয়স, ক্লাস ইলেভেন পড়ে। তাঁকে স্কুলের নাম জিজ্ঞাসা করলে বলছে ভুলে গেছি। এটা বিজেপির চেহারা।
- ১৪ তারিখ মেয়েরা রাতদখলের ডাক দিয়েছিল। আমরা সম্মান জানাই। যাঁরা প্রতিবাদ করেছিলেন, তাঁদের দাবি ছিল ধর্ষণমুক্ত সমাজ গড়ার। যাঁরা দোষী, তাঁদের কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। আমাদেরও সেই একই দাবি। চার দিন কলকাতা পুলিশের হাতে কেস ছিল। ১৪ তারিখ আদালত সিবিআই-এর হাতে কেস দেয়। কেন ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও কেন সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়নি, সিবিআই-কে জবাব দিতে হবে ।
- আমরা সবাই বলছি বিচার চাই। প্রকৃত দোষীদের শাস্তি চাই। বিজেপি বলছে, সংগঠনের পদত্যাগ চাই। তাদের মনের সুপ্ত বাসনা বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা। গতকাল ওরা পুলিশকে আক্রমণ করেছে । পুলিশ সংযমের পরিচয় দিয়েছে, তাতেই প্রমাণ হয় বাংলা উত্তরপ্রদেশ-গুজরাট নয়।
- আজ ওরা বিচারের দাবিতে বনধ ডাকেনি, বরং কাল যারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে গ্রেফতার হয়েছে, তাদের ছাড়ানোর লক্ষ্যে বনধ ডেকেছে।
- আমি কথা দিয়ে রাখলাম, এই আন্দোলন দিল্লি পর্যন্ত নিয়ে যাব। শুরু তুমি করেছো, শেষ আমি করব। একশো দিনের টাকার দাবিতে আন্দোলন করেছি।
- ৯ তারিখ ঘটনা ঘটেছে। ১০ তারিখ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, যে কেস যদি চায় সিবিআই নিতে পারে। আমরা চাই বিচার হোক। আজ ১৪ দিন সিবিআই তদন্ত করছে। সারদার তদন্তে ১০ বছর হয়েছে, ফাইনাল চার্জশিট জমা পড়েনি। যত তদন্ত হয়েছে, একটারও সুরাহা হয়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে, কী বিচার হয়েছে? যাঁরা আন্দোলন করেছেন, বিচার ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করতেই সিবিআই-ইডিকে কাজে লাগিয়ে। বিচার তবেই হবে যদি আইন আসে। আমরা চাই, যে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, সে যেই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হোক না কেন, কঠোরতম শাস্তি হোক। প্রয়োজন ধর্ষণ বিরোধী টাইম বাউন্ড আইন। এই আইন যদি আগামী ৩-৪মাসের মধ্যে ভারতে না আসে, কেন্দ্রের সরকার প্রনয়ণ না করে, তাহলে দিল্লিতে আন্দোলন হবে। আমরা কেন্দ্রকে দলগতভাবে চিঠি লিখব। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই লিখেছেন। কেন্দ্রের সরকার যদি এই বিল না আনে, তাহলে প্রাইভেট মেম্বার বিলের মাধ্যমে এই আইন মুভ করব দিল্লির সাংসদ। প্রত্যেক সাংসদের অধিকার আছে, প্রাইভেট মেম্বার বিল মুভ করিয়ে সেটা বিল হিসাবে আইনসভায় পাশ করিয়ে আইন তৈরি করার। বাংলার মানুষ আমাকে এই অধিকার দিয়েছে।
- আগামী দিনে ছাত্র সংসদ নির্বাচন যখনই হবে, তখন ৫৫ শতাংশ আসনে মেয়েরা লড়াই করার সুযোগ পান, সেটা সুনিশ্চিত করব। ৫০ শতাংশ নয়। হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে, ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো। পঞ্চায়েত, লোকসভা আমরা করে দেখিয়েছি। বিজেপি এনেছিল, উইমেন রিজার্ভেশন বিল, কিচ্ছু হয়নি, লবডঙ্কা। আমরা কথা দিয়েছি. কথা রেখেছি। ২৯ জন সাংসদের মধ্যে ১২ জন মহিলা প্রতিনিধি। পঞ্চায়েত স্তরে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ করে আমরা দেখিয়েছি। আর ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ৪৫-৫০ নয়, ৫৫ শতাংশ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি তৃণাঙ্কুরকেও বলব। কলেজগুলোতে মেয়েরা যাতে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে, তা সুনিশ্চিত করতে হবে।