কলকাতা: অতর্কিতে অভিযান। শয়ে শয়ে পুলিশ কর্তা-কর্মীদের চোখ এড়িয়ে একেবারে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে পৌঁছে গেলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। শান্তিনিকেতনের সামনে নাড়ানো হল বিজেপির দলীয় পতাকা। সঙ্গে স্লোগান। মঙ্গলবার বিজেপির তরফে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। কলকাতা জুড়ে মোতায়েন ছিল কয়েকশো পুলিশকর্মী।
Key Highlights
বিএসএফের গুলিতে রাজবংশী যুবকের মৃত্যুতে জবাব চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা তাঁরই বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই মোতাবেক মঙ্গলবার ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি। আর তাতে গোটা শহর কড়া নিরাপত্তার মোড়কে মুড়ে ফেলেছে পুলিশ। কারণ বিজেপি কোথা থেকে মিছিল করে কোথায় জড়ো হবেন, তা গোটা পরিকল্পনাই গোপনে রেখেছে।
শহর জুড়ে কড়া নিরাপত্তা। সকালে ভবানীপুর থেকে মিছিল করে যাওয়ার কথা ছিল বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। শহর, পাশ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে কর্মী সমর্থকরা জমায়েত করতে শুরু করেন। পাল্টা সক্রিয় পুলিশও। পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ যদুবাবু বাজার এলাকা। মোতায়েন রয়েছেন কয়েকশো পুলিশ কর্মী।
জোর করে জমায়েত করার অভিযোগে যদুবাবুর বাজার এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থকদের গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের মধ্যে মহিলা কর্মীরাও রয়েছেন। বড় মিছিলটি কোথা থেকে আসবে, কোথায় তাঁরা জমায়েত করবেন, সেটা বিজেপির তরফ থেকে গোপন রাখা হয়েছে।
কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে কড়া প্রহরা রয়েছে পুলিশের। মোটামুটি ছোট ছোট করে মিছিল করে অভিষেকের বাড়ির সামনে যাওয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছেন বিজেপি কর্মীরা।
তবে ওই এলাকায় রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছে। প্রত্যেকটি পাবলিক ট্রান্সপোর্টেও নজর রাখছেন পুলিশ কর্মীরা। যাতে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে মিশে লক্ষ্যপূরণে এগিয়ে যেতে না পারেন বিজেপি কর্মীরা।
প্রথমেই একটি মিনিবাসকে আটকানো হয়েছিল। সেই মিনিবাসেই এসেছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তাঁরা ডোমজুড় থেকে এসেছিলেন। তাঁদেরকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। হাজরা পর্যন্ত গোটা এলাকা কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলেছে পুলিশ।
এদিকে, মদন মিত্রের নেতৃত্বেও তৃণমূলের একাংশ কর্মীরাও পাল্টা জমায়েত করেছেন যদুবাবুর বাজার এলাকায়। মদন মিত্র বলেন, “আমাদের ছেলেরা তো হনলুলুতে থাকে না, হনলুলু চলে যাব নাকি, পুলিশ প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করব। প্রতিবাদ করা মানে ছাড়পোকা মারা। টিপে দিলেই মরে যাবে।”
বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “এই রাজনীতি তৃণমূলের ব্যুমেরাং হবে। পরিবারের সকলেই রাজনীতি করেন না। বাড়ির কেউ রাজনীতি করেন বলে, তাঁদের বাড়ি ঘেরাও করে, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নির্যাতন করা, এই রাজনীতির আমি বিরোধী। এখন ইট ছুড়লে পাটকেল খেতেই হবে।”