কলকাতা: ফের মুখ খুললেন তিলোত্তমার ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার। এর আগে সে চিৎকার করে বলেছিল, সরকার তাকে ফাঁসাচ্ছে। আর এবার আরও মারাত্মক অভিযোগ করল সে। আদালত থেকে বেরিয়ে ফের চিৎকার করে বলল, “বিনীত গোয়েল আমায় ফাঁসিয়েছে…”
উল্লেখ্য, তিলোত্তমার ঘটনায় প্রথমেই গ্রেফতার করা হয়েছিল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে। এমনকী কলকাতা পুলিশ এই ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম উল্লেখ করে। এরপর সিবিআইও তাদের পেশ করা প্রাথমিক চার্জশিটে তিলোত্তমার ঘটনায় অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করে সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম। দেখা যায়, এরপর থেকেই কার্যত বিস্ফোরক দাবি করতে থাকে অভিযুক্ত। কখনও আদালতের মধ্যেই বিচারকের উদ্দেশ্যে বলে, ‘স্যর আমার কিছু বলার আছে..নয়ত দোষী করে দেবে।” কখনও আবার প্রিজন ভ্যান থেকেই চিৎকার করে বলতে শুরু করে, “আমি ধর্ষণ খুন করিনি। সরকার ফাঁসাচ্ছে” সঙ্গে এও বলে, “যান গিয়ে আসল লোককে ধরুন…।”
এরপর সোমবার নিম্ন আদালত থেকে বেরনোর সময় ফের সেই একই পদ্ধতি নিল অভিযুক্ত। আদালত থেকে বেরনোর সময় একদম প্রথমে মুখ না খুললেও প্রিজন ভ্যান চলতে শুরু করলে তার জানালা থেকে চিৎকার করে বলতে থাকে, “আমি নাম বলে দিচ্ছি…বড় বড় অফিসার রয়েছে…বিনীত গোয়েল, ডিসি স্পেশাল চক্রান্ত করে ফাঁসিয়েছে আমায়।”
প্রসঙ্গত, এ দিন নিম্ন আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব চলছিল। সাক্ষ্য দেন তিলোত্তমার বাবা ও কাকু। তবে অভিযুক্ত সিভিকের দাবি, তাকে কিছু বলতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও, নিয়ম অনুযায়ী আজ তার বলার কিছু নেই। উল্লেখ্য, জুনিয়র চিকিৎসকরা আরজি কর-কাণ্ডে আগেই প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন। তারপর তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন তাঁরা। তাঁদের সেই দাবি মেনে নেয় রাজ্য সরকার। পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বীনিত গোয়েলকে। নতুন সিপি হন মনোজ ভর্মা।