শুভশ্রীর দিদির সঙ্গে ‘প্রতারণা’, বিয়ের দু’ মাসের মাথায় গ্রেফতার রাজ চক্রবর্তীর শ্যালিকার স্বামী

এপ্রিল মাসের ২ তারিখ তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের ১০ দিনের মাথায় নানা ভাবে অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ তোলেন তৃণমূল বিধায়ক-পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakrabarty) শ্যালিকা।

শুভশ্রীর দিদির সঙ্গে 'প্রতারণা', বিয়ের দু' মাসের মাথায় গ্রেফতার রাজ চক্রবর্তীর শ্যালিকার স্বামী
ছবি ইনস্টাগ্রাম
Follow Us:
| Updated on: Jun 19, 2021 | 1:32 PM

কলকাতা: অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের দিদি দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দেবশ্রীর স্বামী অমিত ভাটিয়াকে শুক্রবার রাতে বাগুইআটির জ্যাংরা থেকে গ্রেফতার করে টেকনো সিটি থানার পুলিশ। অমিতের বিরুদ্ধে প্রতারণা, বিশ্বাস ভঙ্গ-সহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন দেবশ্রী। শনিবার ধৃতকে বারাসত আদালতে তোলা হবে।

চলতি বছর এপ্রিলেই অমিত ভাটিয়ার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন পরিচালক ও তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর শ্যালিকা দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। ২ এপ্রিল ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই সাত বছরের বন্ধুত্বকে দাম্পত্যে রূপান্তরিত করেন দেবশ্রী-অমিত। অভিযোগ, বিয়ের ১০ দিনের মাথায় নানা ভাবে অত্যাচার শুরু হয় দেবশ্রীর উপর।

আরও পড়ুন: হাড় হিম করা ঘটনা মালদহে! বাড়ির চার সদস্যকে মেরে ঘরেই দেহ পুঁতে রাখল ছেলে

এরপরই গত ১৭ তারিখ রাতে টেকনো সিটি থানায় অভিযোগ করেন দেবশ্রী । পুলিশ অমিত সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করে। সেখানেই জানা যায়, অমিতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। তিনি জামিনে মুক্ত। দেবশ্রীকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়ে করেন অমিত বলেও অভিযোগ। শুধু অমিতই নয়, ছেলের কুকর্মে মদত দিতেন মা দিপালী ভাটিয়া বলেও অভিযোগ।

আরও পড়ুন: শহরে জমা জলের ভোগান্তি কাটাতে ৬ ফর্মুলা বিশেষজ্ঞদের, হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে কেন্দ্র-রাজ্যকে

অমিত-দেবশ্রী একই সংস্থায় চাকরি করতেন। বহুদিনের বন্ধু তাঁরা। সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারিতেই দেবশ্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন অমিত। ২৮ দিনের মধ্যে বিয়ের সিদ্ধান্তও নেন তাঁরা। দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় জানান, “বিয়ের প্রথম দু চারদিন খুব ভাল ছিলাম। ১০ এপ্রিলের পর থেকে ওর আচরণ একেবারে বদলে যায়। অশান্তি করা, বাড়ির মধ্যে চিৎকার চেঁচামেচি। আমাদের বাড়িতে এরকম পরিবেশ আমি দেখিনি। আমরা খুব সুখী পরিবার। ও শুধু আমার উপর নয়, আমার ছেলে, বাবা, মা সকলের উপরই মানসিক অত্যাচার করা শুরু করে।”

দেবশ্রীর অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর অমিত তাঁর নিজের বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করা বন্ধ করে দেন। তাতেই খটকা লাগে দেবশ্রীর। দেবশ্রীর কথায়, “আমি ওর বিষয়ে খোঁজ নিতে শুরু করি। এরপরই জানতে পারি ২২ জানুয়ারি ওর নামে একটা ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমি মেয়েটির সঙ্গে নিজে কথা বলি। আমি হতবাক মেয়েটির সঙ্গে যা যা করা হয়েছে!”

দেবশ্রী জানান, অমিত এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও দিনই কিছু জানাননি। এমনকী অমিতের যে আগেও বিয়ে হয়েছে তাও জানতেন না শুভশ্রীর দিদি। দেবশ্রীর কথায়, “আমারও তো এটা দ্বিতীয় বিয়ে। কিন্তু তা লুকোবে কেন মানুষ? একটা মানুষ জামিনে ছাড়া পেয়ে বিয়ে করে ফেলবে? সবটা লুকিয়ে?”