কলকাতা: অ্যাডেনো ভাইরাসের আতঙ্ক রাজ্য জুড়ে। রাজ্যে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে মঙ্গলবারই মৃত্যু হয়েছে ৩ শিশুর। গত ৩ দিনে মৃত্যু হয়েছে ১০ শিশুর। অ্যাডিনো নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকারও। নবান্নে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা সতর্কীকরণের মত যুদ্ধ কালীন তৎপরতায় সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বিশেষ ইউনিট খোলা এবং চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। আগামী ৭ দিন পর্যবেক্ষণের পর সতর্কীকরণের কথা ভাববে সরকার। তবে এখুনি কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে না শিশুদের স্কুলে। প্রকাশ্যে জনবহুল জায়গায় ঘোরা ফেরা,বিনোদন পার্ক,সিনেমা হল ও শপিং মলে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ। পাশাপাশি মুখে মাক্স পরা ও স্যানেটাইজেশান করার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছেন।
চিকিৎসক প্রভাসপ্রসূন গিরি বলেন, “গত এক দেড় মাস ধরে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অ্যাডিনো ভাইরাসে বড়-বাচ্চা সবাই আক্রান্ত হন। তবে বড়দের মধ্যে সেরকম প্রভাব পড়ে না। যে সব বাচ্চাদের বয়স ২ বছরের বেশি, তাদের ক্ষেত্রেও খুব একটা সমস্যা নেই। যাদের বয়স ২ বছরের কম কিংবা ১ বছরের কম, তাদের মধ্যে বেশি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যে কটা বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে, দেখা যাবে, তাদের প্রত্যেকেরই বয়স ২ বছরের কম। যাদের বাচ্চার বয়স ২ বছরের কম, তাদের অভিভাবকদের বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রোটেক্ট করে রাখতে হবে। যে বাচ্চারা ডে কেয়ার কিংবা প্লে স্কুলে যাচ্ছে, তাদের কিছুদিন পাঠাবেন না। বড়রা বাইরে বের হন, তাঁরা অসুস্থ হলে নিজেরাই বাচ্চাদের থেকে এড়িয়ে চলুন।”