Physical Harassment: গণধর্ষণের ১০ দিন পরও কেন গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি? ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

Shrabanti Saha | Edited By: Soumya Saha

Feb 28, 2023 | 4:31 PM

Calcutta High Court: বিরক্তির সুরে বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার মন্তব্য, পুলিশের এমন গা ছাড়া মনোভাব দেখে যন্ত্রণা পাচ্ছে আদালত।

Physical Harassment: গণধর্ষণের ১০ দিন পরও কেন গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি? ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ছবি)

Follow Us

কলকাতা: গণধর্ষণের অভিযোগের (Physical Harassment) ১০ দিন পরেও কেন গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি? ক্ষুব্ধ আদালত। বাঁকড়াহাট গণ ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে জেলার পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এদিন বেলা তিনটের মধ্যে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার ব্যাবস্থা করতে হবে পুলিশকে। আগামিকাল (বুধবার) থেকে সিআরপিএফ বা সিআইএসএফ নির্যাতিতার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে বলেও নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। হাইকোর্টের প্রশ্ন, দশদিনেও কেন পোশাক, মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়নি? বিরক্তির সুরে বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার মন্তব্য, পুলিশের এমন গা ছাড়া মনোভাব দেখে যন্ত্রণা পাচ্ছে আদালত।

বিচারপতির বক্তব্য, মহিলা পুলিশ ছিল কি না? কেন এফআইআর করতে দেরি হল? সেই সব যাবতীয় দিকগুলি খতিয়ে দেখে পুলিশ সুপার রিপোর্ট জমা দেবেন। বিচারপতির আরও প্রশ্ন, মাত্র দু’বছর চাকরিতে যোগ দেওয়া একজন গণ ধর্ষণের মতো মামলার তদন্ত কীভাবে করছেন? আদালত নির্দেশ দিয়েছে, তদন্তকারী অফিসারকে সাহায্য করার জন্য এই তদন্তে কোনও সিনিয়র অফিসার নিয়োগ করতে হবে পুলিশ সুপারকে। আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার গোটা ঘটনাক্রম খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবেন।

তার মধ্যে বিষ্ণুপুর থানা ও বাঁকড়াহাট আউট পোস্টের ভূমিকাও খতিয়ে দেখে জানাতে হবে আদালতকে। কারণ, অভিযোগ উঠেছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নির্যাতিতা মহিলাকে হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। আগামী শুনানির আগে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে এবং গণ ধর্ষনের ধারা যুক্ত করতে হবে বলেও জানান বিচারপতি। অভিযোগ উঠেছে, ধর্ষনের অভিযোগে মহিলা পুলিশ না থাকায় প্রথমে শুধু জেনারেল ডায়েরি করে ফেলে রাখা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, অতীতে রাজ্যে একাধিক নারী নির্যাতনের মামলা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। বেশ কিছু ঘটনার তদন্তভার হাইকোর্ট তুলে দিয়েছিল অভিজ্ঞ আইপিএস দময়ন্তী সেনের হাতে, আবার কোনও মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল সিবিআই-এর হাতে।

Next Article