কলকাতা: অমিত শাহ, জে পি নাড্ডার পর এবার বাংলায় বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ। মঙ্গলবার দিনভর দফায় দফায় বৈঠকের পর রাতে শহর ছেড়েছেন শাহ-নাড্ডা। আর বুধবারই কলকাতায় পৌঁছবেন বি এল সন্তোষ। তিন দিনে তিন কেন্দ্রীয় হেভিওয়েট নেতা হাজির রাজ্যে। কী এমন হল রাজ্যে সংগঠনে? হঠাৎ এদের কেন একসঙ্গে আসতে হচ্ছে বাংলায়? দলের অন্দরে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আরও জল্পনা বেড়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকের ধরনে। রাজ্যের কোর কমিটিতে থাকা নেতারাও কেন ডাক পেলেন না শাহী বৈঠকে?
অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা, সুনীল বনসল একসঙ্গে রাজ্যে এসেছেন, এমন নজির আগে তৈরি হয়েছে কি না, তা কেউ মনে করতে পারছেন না। এরই মধ্যে আবার হাজির বি এল সন্তোষ। বুধবার আইসিসিআর-এ রয়েছে রাজ্য কমিটির বৈঠক। সেখানেই সন্তোষের উপস্থিত থাকার কথা। মনে করা হচ্ছে, শাহ-নাড্ডা যে সব পরামর্শ দিয়ে গিয়েছেন, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া হবে এই বৈঠকে।
শাহ-নাড্ডার বৈঠকে ছিল না রাজ্য কমিটির একটা বড় অংশ। ২০ জনের মধ্যে ডাক পেলেন ১১ জন। বৈঠকে ছিলেন না চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, এক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অথচ এরা সবাই মূল কোর কমিটিতে আছেন। কেন এদের ডাকা হল না? কেন হঠাৎ এই বিভাজন?
হঠাৎ কেনই বা কয়েকজন চার নেতাকে নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করলেন অমিত শাহ , এমন অনেক প্রশ্ন দলের কর্মীদের মধ্যে উঁকি মারছে? দুজনেই মঙ্গলবার বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন কীভাবে প্রচার করতে হবে। কী কী বিষয় নিয়ে প্রচার করা উচিত। সোশ্যাল মিডিয়াকে বুথভিত্তিক করতেও বলে গিয়েছেন নেতারা। সবই হল, কিন্তু কিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল না।