কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যভবনে ফিরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা জানান, কলকাতা পুলিশের সিপি, ডিসি নর্থ, স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে সরানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সে আশ্বাস মৌখিক। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদারের কথায়, “যতক্ষণ না অবধি এর বাস্তবায়ন ঘটছে, ততক্ষণ অবধি আমরা আমাদের আন্দোলন, অবস্থান, কর্মবিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেব না। আগে বাস্তবায়ন হবে, সুপ্রিম কোর্টে মঙ্গলবার শুনানি হবে, তারপর আমরা প্রত্যেকটা কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা সকলে বসে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেব। তার আগে নয়।”
আন্দোলনকারীরা জানান, ৫ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিছু বিষয় নিয়ে সদর্থক আলোচনা হয়েছে।জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, আন্দোলনের ৩৮তম দিনে এসে মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা করলেন। তাঁর কথায়, “সুপ্রিম কোর্টে যেমন মামলা চলছে, তেমনই রাজ্য সরকারের কাছেও আমাদের কিছু দাবিদাওয়া আছে। বারবার আমরা তাই আলোচনায় বসতে চেয়েছি। আমাদের সদিচ্ছার কোনও অভাব ছিল না। ৯ তারিখের ঘটনা ও পরবর্তী ঘটনাক্রমে বাধ্য হয়েছেন উনি বলতে সিপিকে সরাতে হবে। ডিসি নর্থকেও সরানোর কথা বলেন।”
এদিন অনিকেত বলেন, স্বাস্থ্যভবনের দুর্নীতি নিয়ে বলা হয়েছে। সন্দীপ ঘোষের বাড়বাড়ন্ত কার জন্য, তা নিয়েও বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যসচিবকে সরানোর প্রস্তাবও বিবেচনা করে দেখতেই হবে বলে জানিয়ে এসেছেন তাঁরা। ,শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ করার কথা বলেছেন। অনিকেতদের বক্তব্য, গণতান্ত্রিক পরিবেশ যদি না থাকে যত টাকাই দেওয়া হোক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। কথা হয়েছে মেডিক্যালের ‘থ্রেট কালচার’ নিয়েও, জানান তিনি।
কিঞ্জল নন্দও এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ। তিনি এদিন বলেন, “প্রথম থেকে যে স্বচ্ছতার কথা আমরা বলেছি, সেটাই আমাদের শক্তি। আজ সরকার বাধ্য হয়েছে আমাদের দাবি মেনে নিতে। তবে এখনও বহু দাবি মানা বাকি। এখনও কোনও অর্ডার বেরোয়নি। তাই অর্ডার না বেরোনো অবধি আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা কোনও আপস করতে আসিনি। আমরা বিচার চাই। সেই বিচারের দাবিতে আমাদের লড়াই চলছে চলবে।”