কলকাতা: চাকরির দাবিতে ১ হাজার দিন রাস্তায় পার করেছেন তাঁরা। সোমবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তাঁরা জানিয়েছেন, মিটিং সদর্থক। এই বৈঠকের পরই বিকাশ ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর আবেদন, চাকরিপ্রার্থীরা যেন আন্দোলন তুলে নেন। ওরা এভাবে বসে আছেন, দেখতে ভাল লাগে না, বলেন ব্রাত্য। একইসঙ্গে জানান, ওদের এভাবে বসে থাকার যেমন কারণ আছে, তাঁদেরও কিছু আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। তবে একইসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই চাকরি দিতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই চাকরি দেবেন।”
তবে কিছু আইনি জটিলতা যে রয়েছে মানছেন ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “আশার আলো ছিলই। তবে কিছু আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছিল। আইনি জটিলতা দূর করার জন্য আমাদের দিক থেকে সদর্থক উদ্যোগও ছিল। যেহেতু হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চের পর সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছে। আমরা বারবারই বলেছি, আদালত যেভাবে চাইবে আমরা নিয়োগ দেব। আশা করছি যে আইনি জটিলতা আছে, তা কেটে যাবে।”
আগামী ২২ তারিখ আবারও চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ব্রাত্য বসু। তার আগে ১৪ তারিখ সুপ্রিম কোর্টে এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি আছে। ব্রাত্য বলেন, “আমাদের দিক থেকে যা যা করণীয় তা আমরা করব। তবে আদালতের রায় তো আমাদের উপর নির্ভর করে না। মহামান্য আদালত যেভাবে চাইবে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা অনুসারে আমরাও নিয়োগ দিতে শুরু করব।”
তবে প্যানেলের মেয়াদ নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো দুঁদে আইনজীবীর দাবি, এক বছরের বেশি সময় হলে এ সংক্রান্ত প্যানেল ‘মৃত’। কল্যাণের বক্তব্য নিয়ে ব্রাত্যর মন্তব্য, “ওনার মতো বরিষ্ঠ আইনজীবী যখন এটা বলেছেন, নিশ্চয়ই তার একটা মান্যতা আছে। বিষয়টা সুপ্রিম কোর্টই ঠিক করবে। সবটাই আইনের লোকেরাই ঠিক করবেন। আদালতের রায়ের দিকেই তাই আমরা তাকিয়ে।”