কলকাতা: নন্দীগ্রামের প্যারা টিচার শ্যামসুন্দর দাস (৩৮)। গত বুধবার ৬ ডিসেম্বর স্কুলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা ঘটে। রাতেই কলকাতায় আনা হয় তাঁকে। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্রেন ডেথ। পরিবারের উদ্যোগে সেই যুবকের ৮টি অঙ্গ দান করা হল। শ্যামসুন্দরের দাদা গৌরসুন্দর দাস বলেন, “ভাইকে হারালাম। তবে হারিয়েও ও থেকে গেল অন্যের দেহে।”
নন্দীগ্রাম আমদাবাদ ২নম্বর অঞ্চলের বাসিন্দা গৌরসুন্দর দাসের কথায়, “আমার ভাই প্রাইমারি প্যারা টিচার ছিল। স্কুলে গিয়েছিল বুধবার। পরীক্ষা ছিল স্কুলে। বেরিয়ে আসতেই বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেদিন ভাইয়ের মাথায় হেলমেট ছিল না। ঢালাই রাস্তায় পড়ে যায় ও। এরপরই রক্তক্ষরণ শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে সেখান থেকে তমলুকে নিয়ে যেতে হয়। এদিকে তমলুকে নিউরো নেই বলে বুধবারই রাতে পিজিতে নিয়ে আসি। সঙ্গে সঙ্গে ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করে।”
গৌরসুন্দর জানান, বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসকরা জানান ভাইয়ের অবস্থা ভাল নয়। রেড জ়োন থেকে সিসিইউয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চিকিৎসকরা জানান, শ্যামসুন্দরের ব্রেন ডেথ হয়ে গিয়েছে। এরপরই বাড়ির লোকেরা তাঁর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতোই ফুসফুস যাচ্ছে দিল্লির মেদান্ত হসপিটালে। দু’টি কিডনির মধ্যে একটি কমান্ড হাসপাতালে, অন্যটি চার্নক হাসপাতালে। কলকাতা পুলিশের তরফে গ্রিন করিডর করে শনিবারই সেগুলি নিয়ে যাওয়া হয়। তবে লিভার,কর্নিয়া, ত্বক যাবে এসএসকেএম হাসপাতালে। গৌরসুন্দর বলেন, “আটটা অঙ্গ দান করা হয়েছে। ভাই যখন ছিল, সকলের জন্য কাজ করত। মারা গিয়েও ও সকলের মধ্যে বেঁচে থাকবে।”