কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় সিবিআই-কে ভর্ৎসনা আলিপুর বিশেষ আদালতের। একই সঙ্গে ভর্ৎসনার মুখে কলকাতা পুলিশও। আলিপুর বিশেষ আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় এই মামলায় তৎপরতা বাড়াতে বলেছেন কলকাতা পুলিশের (ক্রাইম) যুগ্ম কমিশনার ও সিবিআই-এর জয়েন্ট ডিরেক্টরকে।
সম্প্রতি, কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও সিবিআইকে যৌথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। কুন্তল ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী-র বয়ান রেকর্ড করার পাশাপাশি যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অর্থাৎ সিবিআই ও ইডি আধিকারিকদেরও বয়ান রেকর্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই বয়ান রেকর্ডের পূর্ণাঙ্গ একটি রিপোর্ট ২১ তারিখের মধ্যে থার্ড জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করার কথা বলা হয়।
বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সেই দিন ধার্য করার ক্ষেত্রে অনেকাংশে একটা ঢিলেমো রয়েছে। যুগ্ম কমিশনারের দাবি, তিনি সিবিআই-এর তরফ থেকে পূর্ণাঙ্গ সাহায্য পাচ্ছে না। এরপর ১ সেপ্টেম্বর অর্পণ চট্টোপাধ্যায় কড়া ভাবে নির্দেশ দেন সিবিআই এবং কলকাতা পুলিশ দুপক্ষই যেন অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারীদের নিয়ে বসেন। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করে রিপোর্ট পেশ করেন।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন তৃণমূল যুব নেতা প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি থাকাকালীন জেলে বসে চিঠি লিখেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। ধৃত কুন্তল ঘোষ আদালতে যাওয়ার পথে দাবি করেছিলেন, তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। সেই মামলার জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত।