কলকাতা: মণিপুরে দুই মহিলাকে হেনস্থার ঘটনা নিয়ে এবার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হচ্ছে দুর্গাপুজো কমিটি।রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজো কমিটি গুলি। তাদের যৌথমঞ্চ ‘বাংলার দুর্গা’ এই স্মারকলিপি পাঠাচ্ছে। আর এর নেতৃত্বে রয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, রাজ্যের মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটিগুলির নেপথ্যে এই কর্মসূচি আসলে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের।
কেন না, ‘বাংলার দুর্গা’র সঙ্গে যুক্ত বেশির ভাগ সদস্যই তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসেরও সক্রিয় সদস্য। কেউ কেউ নেতৃত্বও বটে। শনিবার গড়িয়াহাটে বাংলার দুর্গার প্রায় ৩ হাজার সদস্য জড়ো হচ্ছেন। সাড়ে ৩০০ মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটির এই সদস্যরা মণিপুর নিয়ে সুর চড়াতে চলেছেন। তাঁরা তাঁদের দাবিপত্রে সই করবেন। সেই সইসম্বলিত কাগজই যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে।
মণিপুর ইস্যুতে প্রথম থেকেই সরব তৃণমূল। শুধু মণিপুর নয়, এর আগেও একাধিক ইস্যুতে ময়দানে নামতে দেখা গিয়েছে এ রাজ্যের শাসকদলকে। বছরভরই রাস্তায় থাকে তৃণমূল মহিলা সেল বা তার সঙ্গে যুক্ত মহিলারা। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও মহিলা ভোট ব্যাঙ্ক ছিল তৃণমূলের অন্যতম হাতিয়ার। মহিলাদের সামনে রেখে নানা প্রকল্পও চালু করেছে বাংলার সরকার। এবার মণিপুরে দুই মহিলাকে নির্যাতনের ইস্যুকে সামনে রেখে বিজেপিকে কোণঠাসা করার সমীকরণ নিয়েছে তারা।
যদিও বিজেপির দাবি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও মণিপুরের ঘটনার নিন্দা করেছেন। এরপরও যদিও কোনও রাজনৈতিক দল সুর চড়ায়, তা তাদের রাজনৈতিক অভিসন্ধি চরিতার্থের পথ বলেই ধরে নিতে হবে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন মণিপুরে যা ঘটেছে তা দেশের লজ্জা। গোটা দেশ তাঁদের সঙ্গে আছে। আমার মনে হয় এটা নিয়ে সস্তার রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই। পশ্চিমবঙ্গে মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজো কমিটিগুলিতে যাঁরা আছেন, তাঁদের বলব, বাংলায় যাঁরা অত্যাচারিত হচ্ছেন তাঁদের কথাও একটু অনুগ্রহ করে ভাবুন।”