বেহালা: নিজের স্কুলেরই উঁচু ক্লাসের ছাত্রীদের ছবি ভাইরালের অভিযোগ উঠল কলকাতার এক স্কুলে। অভিযোগ, ওই স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্র তারই স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিকের বেশ কিছু ছাত্রীর ছবি জোগাড় করে ওই ছাত্র। এরপর মোবাইল ফোনে AI অ্যাপ ব্যবহার করে ছাত্রীদের অশ্লীল ছবি তৈরি করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি সামনে আসতেই ছাত্রের পরিবারকে ডেকে পাঠায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। স্কুলের তরফ থেকে ছাত্রের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হয়।
চলতি বছর মাধ্যমিকের প্রথম দশে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ৬ জন পরীক্ষার্থী ছিল। এই সাফল্যের কারণ তুলে ধরতে গিয়ে এখানকার স্বামীজী বলেছিলেন, “নরেন্দ্রপুরে তপোবনের মতো একটা পরিবেশ আছে। এটাও সাফল্যের দিকে এগিয়ে দিতে সাহায্য করে। আরেকটা জিনিস, একবিংশ শতাব্দীতে মোবাইল ফোনের গুরুত্ব আছে তা অনস্বীকার্য। তবে আমাদের এখানে ছাত্রদের হাতে মোবাইল ফোন থাকে না। নিরবিচ্ছিন্ন পড়াশোনা, একসঙ্গে বেড়ে ওঠাই ওদের কাছে প্রধান বিষয়।”
নরেন্দ্রপুরের পরিবেশ অন্যরকম ঠিকই। কিন্তু সার্বিকভাবে বর্তমান যুগে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ঘরে ঘরে, সব বয়সিদের হাতেই অনায়াসে বিরাজ করে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, একটা বয়স পর্যন্ত অন্তত অভিভাবকদের নজরদারি কি থাকা উচিত নয়? সেটা থাকলে দশম শ্রেণির এক ছাত্রের এআই অ্যাপ নাড়াচাড়া করার সম্ভাবনা কি তৈরি হতো?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লেখাপড়ার জন্য কিংবা ভুলিয়ে রাখার জন্য বড়রাই তো ছোটদের হাতে তুলে দেন মোবাইল ফোন। কিন্তু মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে ছোটরা কী করছে, সে খেয়াল কতজনই বা রাখছেন? অজান্তে নিষিদ্ধ জগতে পা দিয়ে ফেলছে না তো বাড়ির ছোট্ট সদস্যরা? শহরের একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে তা সাংঘাতিক। স্কুলের দিদিদের ছবি তুলে নগ্ন রূপ দিয়েছে সে। তারপর ভাইরাল করেছে সেসব। একটা দশম শ্রেণির ছাত্র এটা করল কীভাবে? আপাতত জুভেনাইল কোর্ট সে ছাত্রের অপরাধের পরিমাপ করবে। তারপর শাস্তি দেবে। মনোবিদরা বলছেন, এ তো শহরের একটা স্কুলের একটা ছাত্রের ঘটনা সামনে এসেছে। কিন্তু এ আঁধার কত শিশু মনের কোণে ছেয়ে গিয়েছে, তার খবর কে রাখে?