KMC: কলকাতা পুরনিগমে চাকরি চুরির অভিযোগ, জাল চিঠি-জাল সইয়ে রাতারাতি কাজহারা মহিলা

KMC: মুনমুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তাঁর সই নকল করে কেউ তাঁর নামে ইস্তফাপত্র জমা করে দিয়েছে। তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি তাঁর। এদিকে পুরনিগমে পৌঁছে গিয়েছে ইস্তফার কাগজ। শুধু তাই নয়, বোরো মিটিংয়ে রেজোলিউশন করে তাঁর জায়গায় ইতিমধ্যেই অন্য একজনকে নিয়োগ করা হয়েছে বলেও খবর।

KMC: কলকাতা পুরনিগমে চাকরি চুরির অভিযোগ, জাল চিঠি-জাল সইয়ে রাতারাতি কাজহারা মহিলা
অভিযোগকারী মুনমুন বন্দ্যোপাধ্যায়। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2024 | 7:35 PM

কলকাতা: কলকাতা পুরনিগমে এবার চাকরি চুরির অভিযোগ উঠল। কলকাতার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসাবে কাজ করতেন মুনমুন বন্দ্যোপাধ্যায়। মুনমুনের অভিযোগ, তাঁর চাকরি চুরি হয়ে গিয়েছে। আর সেই চুরির কায়দাও সাংঘাতিক।

মুনমুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তাঁর সই নকল করে কেউ তাঁর নামে ইস্তফাপত্র জমা করে দিয়েছে। তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি তাঁর। এদিকে পুরনিগমে পৌঁছে গিয়েছে ইস্তফার কাগজ। শুধু তাই নয়, বোরো মিটিংয়ে রেজোলিউশন করে তাঁর জায়গায় ইতিমধ্যেই অন্য একজনকে নিয়োগ করা হয়েছে বলেও খবর।

মুনমুন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার নামে মিথ্যা চিঠি দিয়ে, আমার সই নকল করে পাঠানো হয়েছে। আমি কোনও সই করিনি। আমি মেয়র, ডেপুটি মেয়র সবাইকে জানিয়েছি। চাই চাকরিটা আমাকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।”

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এর নেপথ্যে কার হাত রয়েছে? গোটা ঘটনাই কাকতালীয় নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত? মুনমুন বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, রাজনৈতিক এক কর্মসূচিতে তিনি যাননি। তারপরই এই ঘটনা। যদিও ঘটনাটি ২০২২ সালের। সে বছরই কাজ চলে যায় মুনমুনদেবীর। এরপর ১৪.৭.২০২২ তারিখে তিনি চিঠি দেন মেয়র, ডেপুটি মেয়রকে।

সেই সময় মেয়র পারিষদ ছিলেন রাম পিয়ারি রাম। তাঁকেও চিঠি দিয়েছিলেন মুনমুন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বোরো-৪’র অধীনে স্বাস্থ্য বিভাগের ১০০ দিনের কর্মী ছিলেন।

তবে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষকে এ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমার চিঠি নিশ্চয়ই আমি ডিপার্টমেন্টকে ফরোয়ার্ড করে দিয়েছি। তারপরে কী হয়েছে, সেটা ডিপার্টমেন্ট বলতে পারবে। আমি বলতে পারব না। আমার কাছে কোনও ফাইল পড়ে থাকে না। আমাকে কোনও অভিযোগ করলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তকে পাঠিয়ে দিই।”