Kolkata to Russia: ইতিমধ্যেই ঘুরেছেন ২০টি দেশ, এবার কলকাতা থেকে সাইকেল নিয়ে রাশিয়া চললেন উজ্জ্বল, কিন্তু কেন?

Satyajit Mondal | Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 05, 2024 | 2:49 PM

Kolkata to Russia: জানা গিয়েছে, রাশিয়ার সেন্টপিটার্সবার্গ থেকে তিনি তাঁর যাত্রা শুরু করবেন ৷ সাইকেল চালিয়ে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো হয়ে কাজাকিস্তান, মঙ্গোলিয়া, হয়ে জাপানে পৌঁছাবেন ৷ টোকিও থেকে আবার তিনি দেশে ফিরে আসবেন ৷

Kolkata to Russia: ইতিমধ্যেই ঘুরেছেন ২০টি দেশ, এবার কলকাতা থেকে সাইকেল নিয়ে রাশিয়া চললেন উজ্জ্বল, কিন্তু কেন?
উজ্জ্বল যাচ্ছেন রাশিয়া
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্ব উষ্ণায়নের করাল গ্রাসে মাঝে মাঝেই হাফিয়ে উঠছে বিশ্ব। এখনই সতর্ক না হলে পরিবেশবিদরা বলছেন অচিরেই আরও মারাত্মক বিপদ অপেক্ষা করে আছে গোটা বিশ্বের জন্যই। এরইমধ্যে প্রকৃতিকে বাঁচাতে কখনও সরকারি উদ্যোগ, আবার কখনও বেসরকারি উদ্যোগ গাছ লাগানোর নানা কর্মসূচি তো নেওয়াই হয়। কিন্তু তা কী যথেষ্ট? উত্তরটা মনে হয় ‘না’। নগরায়নের হাত ধরে গোটা রাজ্য তথা দেশ তথা বিশ্বজুড়ে বৃক্ষ নিধন চলছে তা এখনই সতর্ক হওয়ার যে প্রয়োজন রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এরইমধ্যে সবুজায়নের বার্তা দিতে সাইকেল নিয়ে সাইবেরিয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিলেন বাংলার উজ্জ্বল পাল৷

এদিন সকালেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তিনি রাশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন ৷ পৄথিবী জুড়ে গাছ লাগানোর বার্তা দিতে ইতিমধ্যে ২০টি দেশে সাইকেল নিয়ে ভ্রমন করেছেন তিনি ৷ বিশ্বজুড়েই বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, স্কুল, কলেজ, কালচারাল অর্গানাইজেশান, স্পোর্টস ক্লাব ও পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে গাছ লাগানোর বার্তা নিয়ে গিয়েছেন৷ দেশে তো বটেই বিদেশেও এই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি৷ এই লক্ষ্যেই সাইকেল নিয়েই সফলভাবে কিলিমাঞ্জারো অভিযানও করেছেন তিনি। জীবনে অন্তত একটা গাছ লাগান, তার পরিচর্যা করুন ও তাকে বড় করে তুলুন। একটাই বার্তা উজ্জ্বলবাবুর। 

জানা গিয়েছে, রাশিয়ার সেন্টপিটার্সবার্গ থেকে তিনি তাঁর যাত্রা শুরু করবেন ৷ সাইকেল চালিয়ে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো হয়ে কাজাকিস্তান, মঙ্গোলিয়া, হয়ে জাপানে পৌঁছাবেন ৷ টোকিও থেকে আবার তিনি দেশে ফিরে আসবেন ৷ মোট ৯০ দিনের সফর ৷ তার লক্ষ্য বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে মানুষকে জড়ো করে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে তিনি তাঁর বার্তা ছড়িয়ে দেবেন। ২০১১ সালে বাংলাদেশ দিয়ে শুরু হয় তাঁর এই সফর ৷ সোনারপুর আরোহীর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে করে ফেলেন প্রথম অভিযান।

থাকেন বীরভূমের সিউড়িতে। এখানে থাকলে চাষবাস করেন ৷ রোজ যা খান তা তার নিজেরই চাষ করা।  কার্যত সিদ্ধ খাবার খেয়েই কাটে তার জীবন৷ জৈব পদ্ধতিতে চাষ করে যতটা তাঁর লাগে রেখে দেন বাকি বিক্রি করে দেন। যে টাকা তিনি পান তা দিয়ে সবুজায়নের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি গাছ লাগান নানান জায়গায়৷ একইসঙ্গে বন দফতরের সহযোগিতায় বিভিন্ন জায়গায় প্রাণী উদ্ধারের কাজেও প্রায়শই যোগ দেন। 

Next Article