কলকাতা: শহরে আরও এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু। বছর আটাত্তরের কল্পনা দত্তের মৃত্যু হয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বৃদ্ধা। বৃহস্পতিবার রাতে মুকুন্দপুরের হাসপাতালেই মৃত্যু হয়। বাঘাযতীনের বাসিন্দার ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মোট তিনজনের মৃত্যু। বৃহস্পতিবার রাতেই সল্টলেকের এ ই ব্লকের এক ডেঙ্গি আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। জ্বর নিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে কলকাতার নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন ওই বৃদ্ধ। ওই বৃদ্ধের ডেথ সার্টিফিকেটেও ডেঙ্গির কথা উল্লেখ রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই আবার মেদিনীপুর ও খড়্গপুরে ডেঙ্গি আক্রান্ত দুই মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার কলকাতার মেয়র যা তথ্য দিলেন, তাতে আরও বেশি চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্য কর্তাদের কপালে। মেয়র জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে যেখানে ২৭০০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত ছিলেন, সেটা ১১০০ বেড়েছে। বর্তমানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮০২ জন।
কলকাতা পুরসভা ডেঙ্গি দমনে সর্বোতভাবে চেষ্টা করছে, একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে ফিরহাদ জানালেন। তবে সরকারি দফতর, PWD-র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। সেখানে ফিরহাদ হাকিমের স্পষ্ট বার্তা, সকলেই নোটিস ধরানো হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, নোটিস ধরিয়ে আদৌ কি ডেঙ্গি পরিস্থিতির বদল আসবে?
যদিও একটি বিষয় উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের সরকারি কিংবা বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় কোনও গাফিলতির অভিযোগ ওঠেনি। সমস্যা দুটো। চিকিৎসকরা বলছেন, আক্রান্তরা অনেকটাই দেরিতে হাসপাতালে আসছেন। তখন চিকিৎসা করাটাই সমস্যার হয়ে যাচ্ছে। দুই, প্লেটলেট হঠাৎ করেই নেমে যাচ্ছে। কিন্তু তা নিয়ে স্বাস্থ্য কর্তাদের আলোচনা কোথাও গিয়ে অসম্পূর্ণই থেকে যাচ্ছে। অন্যদিকে, নাগরিকদেরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।