AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Model Suicide: বিদিশার পর এবার মঞ্জুষা, পাটুলি থেকে উদ্ধার মডেলের ঝুলন্ত দেহ

Model Suicide: বিদিশা দে মজুমদারের মৃত্যুর পর থেকেই নাকি ভেঙে পড়েছিলেন মঞ্জুষা। ৬ মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল তাঁর।

Model Suicide: বিদিশার পর এবার মঞ্জুষা, পাটুলি থেকে উদ্ধার মডেলের ঝুলন্ত দেহ
মঞ্জুষার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
| Edited By: | Updated on: May 27, 2022 | 11:30 AM
Share

কলকাতা : শহরে আরও এক মডেল তথা উঠতি অভিনেত্রীর মৃত্যু। আবারও উদ্ধার হল ঝুলন্ত দেহ। শুক্রবার সকালে পাটুলির বাড়ি থেকে উদ্ধার হল মঞ্জুষা নিয়োগী নামে এক মডেলের দেহ। গত বুধবার পেশায় মডেল বিদিশা দে মজুমদারের মৃত্যুর পর থেকেই নাকি মরার কথা শোনা যাচ্ছিল মঞ্জুষার মুখে। তবে এ ভাবে যে তিনি সত্যিই আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন, সে কথা ভাবেননি পরিবারের কেউ। মঞ্জুষার মৃত্যুর জন্য কারও দিকে আঙুল তোলেনি তাঁর পরিবার। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।

মাস ছয়েক আগে বিয়ে হয়েছিল মঞ্জুষার। তাঁর মা জানিয়েছেন মঞ্জুষার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা খুবই ভাল। কেউ মঞ্জুষার ওপর কোনও অত্যাচার করতেন না। তাহলে কেন এমন পথ বাছলেন মঞ্জুষা?

মঞ্জুষার মা জানাচ্ছেন, গত কয়েকদিন ধরে শ্বশুরবাড়িতে যেতে চাইছিলেন না তাঁর মেয়ে। বাড়িতেই ছিলেন। স্বামী নিতে এলেও তিনি যাননি। আর বিদিশার মৃত্যুর পর থেকে নাকি তিনি তাঁর মা-কে বলছিলেন, ‘বিদিশা যদি মরতে পারে, আমি কেন পারব না?’  শুধু বিদিশা নয়, মায়ের দাবি পল্লবীর মৃত্যুও প্রভাব ফেলেছিল মঞ্জুষার মনে। মায়ের দাবি, সাফল্য আর উপার্জনের হাতছানিই শেষ করে দিচ্ছেন মঞ্জুষাদের। এ দিন বারবার সংবাদমাধ্যমের সামনে মঞ্জুষার মা দাবি করেন, অনেক টাকা পাওয়ার লোভ ছিল তাঁর মেয়েরও। মডেলিং- এর সাফল্য পেতে কার্যত না খেয়ে রোগা হওয়ার চেষ্টাও করতেন মঞ্জুষা। মা ও স্বামীর বারণ শোনেননি তিনি। এত বেশি টাকার লোভ শুধু তাঁর মেয়েকে নয়, বিদিশাকেও শেষ করে দিচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি। একই কথা বলছেন মঞ্জুষার পরিবারের বাকি সদস্যরাও। তাঁরাও দাবি করেছেন পেশায় ব্যবসায়ী স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কজনিত কোনও সমস্যা ছিল না মঞ্জুষার।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে পরপর তিন মডেল তথা অভিনেত্রীর মৃত্যু অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তিনজনেরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রথমে পল্লবীর ঘটনায় তাঁর পরিবার অভিযোগ তোলে প্রেমিক সাগ্নিকের বিরুদ্ধে। এরপর বিদিশা ও মঞ্জুষার মৃত্যুতে প্রশ্ন উঠল মডেলদের জীবন নিয়ে। মনোবিদরাও বলছেন, দ্রুত সাফল্য পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাই শেষ করে দেয় এই সব তরুণীদের।