Arjun Singh on Raju: ‘তৃণমূল করলে কি ভাইকে ভাই বলতে পারব না!’ রাজুর বাড়িতে যাওয়ার পর বললেন অর্জুন
Arjun Singh on Raju: শুক্রবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে রাজুর বাড়িতে যান অর্জুন। পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের সাংসদ।
কলকাতা : শক্তিগড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে যে রাজু ঝাকে খুন হতে হয়েছে, তার রাজনৈতিক পরিচয় অনেকেরই জানা। সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে তাঁকে দেখা না গেলেও একসময় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। রাজু ঝা-র মৃত্যুর পর তাঁর বিজেপি যোগ নিয়ে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে। তারপরও সেই মৃত ব্যবসায়ীর বাড়িতে পৌঁছে গেলেন অর্জুন সিং। একসময় বিজেপিতে থাকলেও এখন তো তিনি তৃণমূলে। তাই রাজির বাড়িতে তাঁর উপস্থিতি দলকে অস্বস্তিতে ফেলবে না তো? অর্জুনের উত্তর ‘না।’ তিনি যাঁকে ভাই বলে ডাকতেন, তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারের পাশে তো থাকবেনই।
TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে অর্জুন সিং বলেন, ‘কোনও লুকনো কাজ আমি করি না। আমি কারও কাছে যাব, যে আমার পূর্ব পরিচিত, সেটা দল কে জানানোর কী আছে! আমাদের দল অত সংকীর্ণ নয়, ওপেন দল আমাদের। আমি কারও বাড়িতে যাব, দল বারণ করবে এমন কোনও ব্যপার নেই।’
শুক্রবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে রাজুর বাড়িতে যান অর্জুন। পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের সাংসদ। রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে রাজুর সঙ্গে ব্যক্তিগত খাতিরের কথাই বারবার বলতে শোনা গেল অর্জুন সিং-কে। গ্রামে অর্জুনের বাড়ির ১০ কিলোমিটারের মধ্যেই বাড়ি রাজুর। তাঁকে ছোট ভাইয়ের চোখেই দেখতেন বলে জানিয়েছেন অর্জুন।
বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজুকে ভাই বলছেন অর্জুন? সাংসদের উত্তর, ‘তৃণমূল করলে কি ভাইকে ভাই বলতে পারব না, বাবাকে বাবা বলতে পারব না!’ অর্থাৎ রাজুর বাড়িতে যাওয়া নিয়ে বিন্দুমাত্র অস্বস্তি নেই তাঁর। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে কারও বাড়িতে যায়, তাতে দলের কিছু বলার নেই।’
অন্যদিকে, রাজু ঝা-কে সৎ ব্যবসায়ী বলেই বারবার উল্লেখ করেন অর্জুন। তাঁর দাবি, একটা সময় কিছু করে থাকলেও, শেষের দিকে সৎভাবে ব্যবসা করছিলেন রাজু। হোটেল ও পরিবহনের ব্যবসা ছিল তাঁর। রাজু একটি হাসপাতালও বানাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন অর্জুন।