কলকাতা: যাদবপুর (Jadavpur University) কাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে। সূত্রের খবর, এদিন যে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ তাঁরা সকলেই ঘটনার দিন উপস্তিত ছিলেন হস্টেলে। এদের সামনেই সবটা ঘটেছে। প্রাক্তনী যাঁদের ধরা হয়েছে, চিঠি লেখানোর সিদ্ধান্তে তাঁদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই একটি চিঠি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। যেখানে যাদবপুরের বামপন্থী একটি সংগঠনের কর্মীকে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। সূত্রের খবর, সৌরভ ও সপ্তক চিঠি লিখতে বলেছিলেন। চিঠি লিখেছিলেন দীপশেখর। সৌরভ হোয়াটসঅ্যাপে ওই চিঠি কাউকে পাঠিয়েওছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। কিন্তু, কাকে পাঠিয়েছিল খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, ১০৪ নম্বর ঘরে মৃত ওই পড়ুয়ার সামনেই ওই চিঠি লেখা হয়েছিল। পুলিশে তদন্তে দীপশেখর দাবি করেছেন, ওই পড়ুয়া লিখতে পারছিল না, তাই তিনি লিখে দেন। ঠিক কী কী বিষয়ে হস্টেলে জিবি হয়েছিল, কখন জিবি হয়েছিল, মূল কারণ কী সবটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, যাদবপুরের প্রথমবর্ষের ওই পড়ুয়ার মানসিক হেনস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিল ধৃত সকলেই।
ওই ছাত্রের পোশাক খোলার বিষয়েও জোর করা হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, পোশাক খোলা নিয়ে দুরকম তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সেই জন্য অভিযুক্ত সকলের বয়ান খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যা উঠে এসেছে তাতে জানা যাচ্ছে ঘটনার রাতে প্রথমে চিঠি লেখা হয়। তারপর ইন্ট্রো পর্ব শুরু হয়। সূত্রের খবর, ইন্ট্রো করানোর জন্য প্রথমে ৬৮ নম্বর রুম থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ১০৪ নম্বর রুমে। ১১টা নাগাদ প্রথমে চিঠি লেখানো হয় ১০৪ নম্বর রুমে। তারপর আবার নীচের তলায় নিয়ে আসা হয় সাড়ে এগারোটা নাগাদ। তারপর ইন্ট্রোর নামে চাপ দিয়ে বিবস্ত্র করানো হয় বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে এও জানা যাচ্ছে রাত ১০টা ৫ মিনিট নাগাদ ডিন অফ স্টুডেন্টকে ফোন করা হয় হস্টেল থেকে। ছাত্রটি অস্বাভাবিক আচরণ করছে বলে জানানো হয়।
১১ টা নাগাদ ওই ছাত্রের বাড়িতে ফোন করে হস্টেলের আবাসিকরা। সেই তথ্য ইতিমধ্যেই প্রকাশ্য়ে এসেছে। অর্থাৎ একদিকে ইন্ট্রোর নামে যখন কিছু পড়ুয়া মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছে, সেই সময় অন্যরা ডিন অফ স্টুডেন্টকে ফোন করছে। একইসঙ্গে ওই ছাত্রের বাড়িতেও ফোন করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া এই সব তথ্যের উপরে ভিত্তি করে তদন্তকারীদের অনুমান, সবটাই পরিকল্পিত।