সারদা মামলায় সিবিআই দফতরে আসিফ খান
এক সময় গ্রেফতারও করা হয় আসিফকে। যদিও পরে জামিন দেওয়া হয় তাঁকে।
কলকাতা: সারদা মামলায় অভিযুক্ত আসিফ খানের ভয়েস স্যাম্পেল পরীক্ষা করা হল বুধবার। সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে এদিন হাজির হন আসিফ। তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে আসিফ বলেন, “এখানে আমরা হয়েছি বলির পাঁঠা। এক সময় মনে হতো সারদাশ্রী নিয়ে তদন্ত। এখন মনে হচ্ছে মিথ্যাশ্রী ও তোলাশ্রী নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ।”
এক সময় মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ নেতা হিসাবে পরিচিতি ছিল আসিফ খানের। সারদা মামলায় নাম জড়ায় আসিফের। মামলায় তদন্তকারীদের হাতে বেশ কিছু অডিয়ো উঠে আসে। এরপরই সেই ভয়েস স্যাম্পেল পরীক্ষা করার জন্য ডেকে পাঠানো হয় আসিফকে। কিন্তু সেই সময় তদন্তকারীরা অনুপস্থিত থাকায় ভয়েস স্যাম্পেল পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
এরপর এদিন ফের তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। এদিনে পরীক্ষা প্রসঙ্গে আসিফ বলেন, “তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলে মনে হচ্ছে সারদা তদন্তের প্রক্রিয়া শেষের দিকে। তবে এটা অনেকদিন আগেই শেষ হতে পারত। কেন হল না জানি না। ২০১৪ সালের পর ২০২১-এর ২০ জানুয়ারি আমার ভয়েস স্যাম্পল নেওয়া হল। কেন এই বিলম্ব এটা তো আমি জিজ্ঞাসা করতে পারি না।”
আরও পড়ুন: ম্যারাপ বেঁধে ভোট, এমনও দেখতে পারে বাংলা
তবে এই স্বরের পরীক্ষা কোনও বৈঠকের নাকি ফোন কলের রেকর্ডিংয়ের সে বিষয়ে স্পষ্ট করে বলতে পারেননি আসিফ। শুধু জানালেন, “যতটা সম্ভব এটা বৈঠকের রেকর্ডিং। ওই বৈঠকে সুদীপ্ত সেন ছিলেন কি না বলতে পারব না। অনেকদিন আগের কথা। ২০১৩-২০১৪ সালে অনেকে ছিল আমাদের পিছনে। তবে ওই বৈঠকে মুকুলদা ছিলেন। মুকুলদা নিশ্চই ছিলেন। মুকুলদা যেখানে নেই আমি সেখানে কী করে থাকব।”
এক সময় তৃণমূলে ছিলেন আসিফ খান। সারদা মামলায় গ্রেফতারও হতে হয় তাঁকে। পরে জামিনে মুক্ত হন। তদন্তে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন তখনই। সিবিআইয়ের কাছে তাঁর বক্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।