Narendrapur School Case: নরেন্দ্রপুর-কাণ্ডে দুই অফিসারকে আর একটা সুযোগ দিল হাইকোর্ট

Shrabanti Saha | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jan 30, 2024 | 5:49 PM

Narendrapur School Case: বিচারপতি এদিন বলেন, 'শুধু প্রধান শিক্ষক নন, এই সব ঘটনার পিছনে আরও অনেকে যুক্ত আছেন। মনে হয় এই স্কুলের অনেক সম্পত্তি আছে। আমি শুনেছি এই স্কুলের ২টি পুকুর আছে।' নরেন্দ্রপুরের স্কুলে হামলার ঘটনায় তদন্ত করছে পুলিশ।

Narendrapur School Case: নরেন্দ্রপুর-কাণ্ডে দুই অফিসারকে আর একটা সুযোগ দিল হাইকোর্ট
হাইকোর্টে নরেন্দ্রপুর মামলা

Follow Us

কলকাতা: নরেন্দ্রপুরের স্কুলে হামলার ঘটনায় এবার মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে শিক্ষা দফতরের দুই সহ-অধিকর্তাকে সময় দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মঙ্গলবার শিক্ষা দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ও ডেপুটি ডিরেক্টরকে আদালতে হাজিরা দিতে বলেছিলেন বিচারপতি। এদিন আর একটা সুযোগ দিতে বলেন তাঁরা। তাঁরা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে, আগের ত্রুটি সংশোধন করে স্কুলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট দিতে চান আদালতে। এ কথা শুনে বিচারপতি বলেন, ‘আদালত সেই সুযোগ দেবে। নতুন করে অনুসন্ধান করে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট দিন।’ স্কুল শিক্ষা দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা এবং জেলা স্কুল পরিদর্শককেও এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে।

প্রধান শিক্ষককে আপাতত স্কুলে না ঢোকার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। শিক্ষকদের আইনজীবী এ দিন হাইকোর্টে জানিয়েছেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওই স্কুলের আলমারি সহ সব চাবি তাঁর ভাইকে দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাঁর ভাইও ওই স্কুলের পার্শ্ব শিক্ষক বলে জানা গিয়েছে। যেহেতু সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে কে সুপারভাইজার হবে, সেই প্রশ্ন উঠেছিল। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছেন, স্কুলের শিক্ষক শিবনাথ চাটুইকে সুপারভাইজার হিসেবে নিযুক্ত করা হবে। এছাড়া কাকে টিচার ইনচার্জ করা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন স্কুলের প্রশাসক।

বিচারপতি এদিন বলেন, ‘শুধু প্রধান শিক্ষক নন, এই সব ঘটনার পিছনে আরও অনেকে যুক্ত আছেন। মনে হয় এই স্কুলের অনেক সম্পত্তি আছে। আমি শুনেছি এই স্কুলের ২টি পুকুর আছে।’

এদিকে, তদন্তের মাঝেই আইসি-র বদলি হওয়ার কথা। এদিন আদালতে সে কথা জানান নরেন্দ্রপুর থানার আইসি। এ কথা শুনে বিচারপতি বলেন, সুপারের সঙ্গে কথা বলুন। তদন্তে কিছুটা অগ্রগতি হওয়া পর্যন্ত যেন আপনাকে এখানে রেখে দেওয়া হয়। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সদর দফতরের স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে তদন্ত চলছে।

Next Article