Bansdroni Accident: এলাকাবাসীর বিক্ষোভে ‘পুলিশি পরিচয়ে বহিরাগত হামলা’, তপ্ত বাঁশদ্রোণীতে ডিসি এসএসডি

Supriyo Guha | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 02, 2024 | 5:40 PM

Bansdroni Accident: অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দারা যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তখন হঠাৎই করে বাইরে থেকে এক দল বহিরাগত ঢুকে পড়ে। সেই বহিরাগতরা বিক্ষোভকারী স্থানীয় মহিলাদের গায়ে হাত তোলেন বলেও অভিযোগ। রীতিমতো হাতাহাতি হয়। 

Bansdroni Accident: এলাকাবাসীর বিক্ষোভে পুলিশি পরিচয়ে বহিরাগত হামলা, তপ্ত বাঁশদ্রোণীতে ডিসি এসএসডি
'বহিরাগত হামলা'
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বাঁশদ্রোণী: মহালয়াতেই মায়ের কোল খালি! পে লোডারে চাপা পড়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ফুঁসছে বাঁশদ্রোণী। সকাল থেকেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। ঘাতক পে লোডারে ভাঙচুর করেন উত্তেজিত জনতা। পুলিশকে ঘিরে হয় বিক্ষোভ। কিন্তু এই বিক্ষোভেও বহিরাগত হামলার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দারা যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তখন হঠাৎই করে বাইরে থেকে এক দল বহিরাগত ঢুকে পড়ে। সেই বহিরাগতরা বিক্ষোভকারী স্থানীয় মহিলাদের গায়ে হাত তোলেন বলেও অভিযোগ। রীতিমতো হাতাহাতি হয়।

বিক্ষোভকারী মহিলা বলেন, “ওরা আমাদের গায়ে হাত তুলেছে। সকাল থেকে ওদের এলাকায় দেখা যায়নি। হঠাৎ করেই একদল এলাকায় ঢুকে পড়ে। আমাদেরও মারে। আমাদের প্রশ্ন ওরা কারা? পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে, কতগুলো গুন্ডা এসে আমাদের মেরে গেল।”

আরেক মহিলা বলেন, “পুলিশ প্রশাসন সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিতে পারছেন না। কিন্তু পুলিশ আমাদেরই গায়ে হাত তুলছে। ওঁরা কোন থানার আমরা জানি না। ওঁকে এখানে পাঠানো হয়েছে কেন? একজন মহিলাকেও মেরেছেন। আমরা ওই অফিসারের সাসপেনশন চাই, যদি তিনি পুলিশ হন।”

পে লোডারের ধাক্কায় ছাত্র মৃত্যু নিয়ে সকাল থেকে বাঁশদ্রোণী উত্তেজিত।  দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পরও দেখা মেলেনি কাউন্সিলরের। ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদার বলেন, “ড্রেনেজের কাজ হচ্ছে। বড় প্রজেক্টের কাজ। সেটা তো সময় লাগে। আমরা কি জানি এরকম ঘটনা ঘটবে? এত বড় বড় কাজ হয়েছে আগে, এরকম তো ঘটেনি। দায় বলতে কী? এখানে দায় কীসের? আমরা ওর পরিবারের পাশে রয়েছি।”

মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “ওখানে ড্রেনেজের কাজ হচ্ছিল। আমরা আছি ওর পরিবারের পাশে। কনডাক্টরকে ডাকা হয়েছে। দেখা হবে কী গাফিলতি? সেই অনুযায়ী কেস হবে। নিশ্চয়ই শাস্তি পাবে।”

ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন পাটুলি থানার ওসি। এক কনস্টেবলকেও মারধরের অভিযোগ ওঠে। বাঁশদ্রোণীর ঘটনার প্রেক্ষিতে ডিসি বিদিশা কলিতা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, জেসিবির চালক পলাতক। দুটো মোবাইল নম্বর দিয়ে সন্ধান করা হচ্ছে। তবে কারা জেবিসি ভাঙলো? কারা পুলিশকে আটকালো তাও দেখা হচ্ছে।বহিরাগত কারা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত কলকাতা পুরসভা কোন অভিযোগ করেনি।

Next Article