কলকাতা ও রিষড়া: শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় ফিরে বিমানবন্দর থেকে রাজ্যপাল চলে গিয়েছিলেন রিষড়ায় (Rishra Chaos)। সেখানে অশান্তি কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন তিনি। ঘুরে দেখেন রিষড়া স্টেশন চত্বরও। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। সাংসদ বললেন, ‘রিষড়ায় অশান্তি হয়েছে, রাজ্যপাল সেখানে গিয়েছেন, সে তো ভাল। আমরা তাঁর প্রশংসা করছি। রাজ্যপাল কড়া বিবৃতি দিয়েছেন। রাজ্য সরকারও কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে।’ এর পাশাপাশি এই গন্ডগোলের জন্য বিজেপি শিবিরের দিকেই আঙুল তুললেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের শ্রীরামপুর যাওয়ার যে কর্মসূচি ছিল, তা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন সৌগত রায়। বললেন, ‘ওদের সভাপতি সুকান্ত ওখানে যাবে বলে আবদার করেছে। পুলিশ যেতে দেয়নি। ওরা (বিজেপি) বলছে, শ্রীরামপুরে অবস্থান করবে। বিজেপি উস্কানি দিয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য রাজ্য সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু বিজেপি সাহায্য করছে না, রাজ্যপালের সেটা দেখা দরকার।’
যদিও বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, ‘এই ঘটনার দায় রাজ্য সরকারের, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ও পুলিশের। একঘণ্টা পর র্যাফ নেমেছে জিটি রোডের উপর। কিন্তু লেন বা বাই লেনের ভিতরে কী হল? ট্রেন অবরোধ হল, ট্রেন ভাঙচুর হল। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর হল, আর পুলিশ তা দেখল।’ প্রশাসনের কোর্টে বল ঠেললেও বিজেপি মুখপাত্র বলছেন, ‘প্রথম কথা শান্তি, দ্বিতীয় কথা শান্তি, তৃতীয় কথা শান্তি। কিন্তু শান্তির মধ্যেই একটি শান্তি রয়েছে। যেমন শ্মশানের শান্তি। আমাদের যে কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছে, তাঁদের বাড়িতে আমরা যাব না? নিরপরাধ মানুষকে লাঠিচার্জ করছে। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব।’
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে হাওড়ার শিবপুর সহ বেশ কিছু জায়গায় গোলমাল বেঁধেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে কাটতে ফের রিষড়ায় অশান্তির বাতাবরণ। এমন অবস্থায় রাজনৈতিক দলাদলির মধ্যেই শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পক্ষে সব রাজনৈতিক দলগুলি।