কলকাতা: তিরিশ হাজার লোক নিয়ে ঝালদা মিছিল করতে চায় কংগ্রেস। তার অনুমতি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা কংগ্রেসকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিলেন বটে, তবে এও জানিয়ে রাখলেন, সেই মামলা শুনবেন কিনা, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। বিচারপতি জানিয়ে দেন, তিনি বেশ কিছু মামলা আর শুনতে আগ্রহী নন। তাই সেই সব মামলা তিনি রিলিজ করে দেবেন। সেই তালিকায় কংগ্রেসের এই মামলাও থাকবে বলে স্পষ্ট করে দেন। বিচারপতির এই মন্তব্যে জল্পনা আইনজীবীদের। কী ধরনের মামলা ছাড়তে চান বিচারপতি মান্থা।
৮ এপ্রিল ঝালদায় প্রায় ৩০ হাজার লোকের মিছিল করতে চায় কংগ্রেস। সেই মিছিলে পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না। অনুমতি চেয়েই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। মঙ্গলবার বিচারপতি মান্থা এই নিয়ে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন। তবে স্পষ্ট করে দেন, তিনি এই মামলা নাও শুনতে পারেন। কারণ তিনি বেশ কিছু মামলা রিলিজ করন। বিচারপতির এই মন্তব্যে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। মূলত কোন ধরনের মামলা তিনি রিলিজ করে দেবেন, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, এই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসেই সোমবার দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার তাঁর পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার ঝাঁকড়ার একটি স্কুল মাঠে সভা করার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেই সভায় অনুমতি দিলেও, স্কুলের পরিচালন কমিটি নারাজ হওয়ায় সভায় অনুমতি দেয়নি পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা করেন শুভেন্দু অধিকারী। দ্রুত সেই মামলা শুনে সভা করার অনুমতিও দিয়ে দেন বিচারপতি মান্থা।
এদিন বিচারপতির এই পর্যবেক্ষণ শুনে ঝালদা পৌরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা ঝালদার শহর কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কয়াল বলেন, “বিরোধী দল জনসভা কিংবা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করতে চাইলেই সরকার ও সরকার মদতপুষ্ট পুলিশ বাধা দেয়। কখনই পুলিশ অনুমতি দেয় না। সরকারের এত ভয় কীসের? হাইকোর্ট কী বলে, সেটা দেখব।”