Calcutta High Court: বাংলার ছেলে কেরলে কাজ করতে গিয়ে কীভাবে পৌঁছে গেল দুবাইয়ে? ৬০ লাখ চাইতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ অসহায় মা-বাবা
Calcutta High Court: কিন্তু মনের মধ্য়ে কতক্ষণই বা সেই উত্তেজনা চেপে রাখা যায়? স্বাভাবিক নিয়মে চেপে রাখতে পারেননি ওই যুবকের বাবা-মাও।

কলকাতা: পেটের টানে প্রথমে কেরল, তারপর দুবাই। বাংলা পরিযায়ী যুবকের জীবনে এখন অনিশ্চয়তার ঘেরাটোপে। তিনি কোথায় রয়েছেন, কেমন আছেন, কী অবস্থা, গোটাটাই পরিবারের কাছে ধোঁয়াশা। কাজে গিয়ে ছেলে ‘বন্দি’ হল কিনা সেই নিয়েও উদ্বিগ্ন পরিবার।
কিন্তু মনের মধ্য়ে কতক্ষণই বা সেই উত্তেজনা চেপে রাখা যায়? স্বাভাবিক নিয়মে চেপে রাখতে পারেননি ওই যুবকের বাবা-মাও। কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। ছেলেকে খুঁজতে জানিয়েছেন আবেদন।
কেরল হয়ে দুবাই
এ রাজ্য়ের বাসিন্দা সুরজিৎ আদিত্য। পেটের টানে পাড়ি দেন কেরলে। সোনার কাজে। সব কিছু ঠিকই ছিল। কিন্তু হঠাৎ বিপদ ডেকে আনল একটা ফোন কল। রাতারাতি বদলে গেলে সুরজিতের বাবা-মায়ের জীবন। গত মে মাসে বাড়ির লোকের কাছে একটি ফোন আসে। ফোনের ওই পার থেকে দাবি করা হয়, তিনি নাকি কেরলে সুরজিৎ যে সোনার দোকানে কাজ করত, তারই মালিক। এরপরই কেরলের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য পাঠান ওই ব্যক্তি। দাবি করেন ষাট লক্ষ টাকার। ওই ব্যক্তি আরও দাবি করেন যে সুরজিৎকে নাকি তিনি ১৫ দিন ধরে আটকে রেখেছেন।
কিন্তু ছেলের এহেন পরিস্থিতি শোনার পরেও পরিবার টাকা দিতে অস্বীকার করে। পরে জানা যায়, এরই মাঝে নাকি কোনও ভাবে দুবাই চলে গিয়েছিলেন সুরজিৎ। খবর পান পরিবারও। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু বিদেশ বিভুঁইয়ে যোগাযোগ সম্ভব হয় না। ফলত বিপাকে পড়েই শেষে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয় তার পরিবার। ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানায় ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। তাদের আর্জি, UAE-এর দূতাবাস পর্যন্ত যেতে তারা অক্ষম।
গত সপ্তাহে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি উঠেছে। শুনানির পর্বে কেন্দ্রের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী আশ্বাস দিয়েছেন, তাঁরা কথা বলে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখবেন। দুবাইয়ের জেলে আদৌ ওই যুবক জেলবন্দি কি না সেটা দেখা হবে।

