AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Vande Mataram: ‘রাজ্য সরকার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্য়ায়কে প্রাপ্য় সম্মান দেয়নি’, বিস্ফোরক প্রপৌত্র সজল

Vande Mataram Debate: তাঁর দাবি, 'আমাদের বঙ্কিম ভবন এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয় চাই। সংসদে প্রথমে জাতীয় সঙ্গীত বাজে, এটা মৌখিক ভাবে হয়। কিন্তু তারপর যখন বন্দে মাতরম বাজে, সেটা হয় শুধু সুরের মাধ্যমে অর্থাৎ ইনস্ট্রুমেন্টাল। কিন্তু আমাদের দাবি, এটাও গাইতে হবে।'

Vande Mataram: 'রাজ্য সরকার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্য়ায়কে প্রাপ্য় সম্মান দেয়নি', বিস্ফোরক প্রপৌত্র সজল
বিস্ফোরক সজল চট্টোপাধ্যায়Image Credit: X
| Updated on: Dec 08, 2025 | 4:22 PM
Share

নয়াদিল্লি: রাজ্য সরকার প্রাপ্য সম্মান দেয়নি, এড়িয়ে গিয়েছে। কিন্তু বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার তা করেনি। বন্দে মাতরম নিয়ে যখন তুঙ্গে বিতর্ক, সেই আবহে রাজ্য়ের দিকেই তির ছুড়লেন বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রপৌত্র সজল চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘অবহেলা করার’ অভিযোগ তুললেন তিনি।

এদিন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-কে দেওয়া ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে সজল বলেন, ‘বঙ্কিম চট্টোপাধ্য়ায় ব্রিটিশদের উপর চাপ তৈরি করে রেখেছিলেন। কিন্তু পূর্ববর্তী সরকার (কংগ্রেস) না বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্য়ায়কে গুরুত্ব দিয়েছে, না তাঁর কাজকে। এমনকি, ওরা এখনও একই রকম ব্য়বহার করে। শুধু রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই ওঁরা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্য়ায়ের নাম ব্যবহার করেছেন। অবশ্য বলে রাখা প্রয়োজন, এখনকার কেন্দ্রীয় সরকার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে গুরুত্ব দেয়। তবে বাংলা সেই একই রকম রয়েছে।’

রাজ্য়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে গিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে তৈরি হওয়া তাঁর ভাল সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন সজল। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা যে তাঁর মাঝে মধ্যেই খোঁজ নেন সেটাও জানিয়েছেন তিনি। সজলের কথায়, ‘২০১৮ সালে অমিত শাহ আমাদের কলকাতার বাড়িতে এসেছিলেন। তখন তো এখানে কোনও নির্বাচন ছিল না। তিনি তাও এসেছিলেন।’ কিন্তু রাজ্যের প্রতি এত ক্ষোভ কেন তাঁর? সোমবার সেই মর্মেই বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রপৌত্র।

সজলের দাবি, ‘আমাদের বঙ্কিম ভবন এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয় চাই। সংসদে প্রথমে জাতীয় সঙ্গীত বাজে, এটা মৌখিক ভাবে হয়। তারপর বন্দে মাতরম বাজে, কিন্তু সেটা হয় শুধু সুরের মাধ্যমে অর্থাৎ ইনস্ট্রুমেন্টাল। আমাদের দাবি, এটাও গাইতে হবে।’ সোমবার যখন বন্দে মাতরম্ নিয়ে এই দাবি করছেন সজল। সেই সময়ই জাতীয় গান নিয়ে সংসদে সরব হয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছেন তিনি।

১৯৩৭ সালে বন্দে মাতরমে্র দু’টি ‘গুরুত্বপূর্ণ স্তবক’ বাদ দেওয়ার জন্য জওহরলাল নেহরুর বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, ‘নেহরু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল বন্দে মাতরম্ মুসলিমদের প্ররোচিত করতে পারে। তারপরই দু’টি স্তবক বাদ দেওয়া হয়েছিল।’