কলকাতা: সোমবারই নবান্নের বৈঠক থেকে সল্টলেক-সহ একাধিক জায়গায় পুর পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ, অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কোন পুর এলাকায় কী খামতি রয়েছে, কোন কাজে আপত্তি, সব প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক থেকে এই বার্তায় নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন, ‘আমি ভারতের তথা পৃথিবীতে কোথাও দেখিনি একজন মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত পুরসভার কাউন্সিলরদের ধরে ধরে মানুষের জন্য কাজ করার বার্তা দিচ্ছেন।’
কৃষ্ণা চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘দিদি যদি বকেনও, সেটা আমার কাছে আশীর্বাদ। সেটা আমার কাছে শিক্ষা। সেটাকে আমি সংশোধন করব।’ কোথায় কি পরিষেবায় খামতি রয়েছে কি না, সে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কিছুটা অস্বস্তির ছবিও অবশ্য ধরা পড়ল তাঁর গলায়। বিধাননগরের মেয়রের কথায়, ‘যা বলেছেন সেটা আমাদের বলেছেন। আমরা সেটা বুঝে নেব।’ তিনি আরও জানান, ‘দিদি যা যা বলেছেন, যেখানে অন্যায় হয়েছে, সেটা দেখা হবে। এটুকু বলতে পারি।’
প্রসঙ্গত, গতকাল নবান্নের বৈঠকে সল্টলেকের প্রসঙ্গ উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একরাশ বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘সল্টলেক, আমার লজ্জা লাগছে। এআরডি অফিসের সামনে একটা করে ত্রিপল লাগাচ্ছে, বসে যাচ্ছে। আমি জানতে চাই, কত টাকার বিনিময়ে, কারা নিয়েছে টাকা?’
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিধাননগরের মেয়র বলেন, ‘উনি যেটা বলেছেন, ১০০ শতাংশ ঠিক বলেছেন। তাঁর নির্দেশ মাথায় নিয়ে চলব আমি। তিনি যদি বকেনও, সেটা আমার কাছে আশীর্বাদ।’