Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Abhishek Banerjee: রিপ্ড জিন্স, কালো গেঞ্জিতে কালীঘাটের রাস্তায় অভিষেক, জন্মদিনের বিকেলে পথেই কাটলেন কেক

Abhishek Banerjee: কেউ হাতে করে নিয়ে এসেছেন ফুলের তোড়া, কারও হাতে ফুটবলের আদলে তৈরি কেক। সঙ্গে স্লোগান, 'দিকে দিকে খেলা হবে'।

Abhishek Banerjee: রিপ্ড জিন্স, কালো গেঞ্জিতে কালীঘাটের রাস্তায় অভিষেক, জন্মদিনের বিকেলে পথেই কাটলেন কেক
জন্মদিনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2021 | 6:04 PM

কলকাতা: ‘দাদা’র জন্মদিনে উচ্ছ্বাসে ভাসল অনুগামীরা। রবিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন। সেই জন্মদিনে প্রিয় নেতাকে শুভেচ্ছা জানাতে বাঁধ ভাঙা ভিড় দেখা গেল কালীঘাটে অভিষেকের বাড়ির সামনে। কেউ হাতে করে নিয়ে এসেছেন ফুলের তোড়া, কারও হাতে ফুটবলের আদলে তৈরি কেক। সঙ্গে স্লোগান, ‘দিকে দিকে খেলা হবে’। অভিষেকও হাসি মুখে কখনও একেবারে ফিল্মস্টারদের মতো হাত নেড়ে, কখনও আবার নেতাসুলভ করজোড়ে ভক্তদের অভিবাদন গ্রহণ করলেন। একদম অন্যছবি ছুটির কালীঘাটে।

৭ নভেম্বর ঘড়িতে রাত বারোটা বাজতেই সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে উপচে পড়েছিল শুভেচ্ছাবার্তার ভিড়। সেখানে অতি পরিচিত রাজনীতির মুখ যেমন ছিল, তেমনই বহু অচেনা মুখের পোস্টেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি ছিল জন্মদিনের শুভ কামনা। রবিবার বেলা গড়াতেই ভিড় বাড়তে শুরু করে কালীঘাটের বাড়ির সামনে। একেবারে অল্প বয়সী সব ছেলে-মেয়ে। এর পর ‘দাদা’র জন্মদিন উদযাপনের প্রস্তুতি চলে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে।

বাড়ি থেকে অভিষেকের কালো গাড়ি বেরোতেই হইহই। চিৎকার, ‘দাদা হ্যাপি বার্থ ডে’। কেউ আবার বলছেন, ‘দাদা জন্মদিনে খেলা হবে’। আর গাড়িতে বসে থাকতে পারেননি অভিষেক। ফুল স্লিভ গোল গলার গেঞ্জি আর ব্লু রিপ জিন্সে পথে নামেন তিনিও। একেবারে অন্য ছন্দে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অনুগামীদের অনুরোধে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কেকও কাটেন তিনি।

অতি সম্প্রতি অন্তত তৃণমূলের কোনও নেতাকে এ ভাবে মানুষের ভিড়ে দাঁড়িয়ে অনুগামীদের অনুরোধে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করতে দেখা যায়নি। এদিনের ছবি বুঝিয়ে দিল ধীরে ধীরে তিনিও জননেতা হয়ে উঠছেন। তবে এত কম সময়ের মধ্যে অভিষেকের এই উত্তরণ সত্যিই উল্লেখযোগ্য।

বঙ্গ রাজনীতিতে যুব নেতা হিসাবে উত্থান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সে সময় সকলের কাছে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো হিসাবেই খ্যাত। এর পর ভোটে জিতে সাংসদ হলেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের। তখনও হাতে গোনা কয়েকটা দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যেত তাঁকে। এ নিয়ে বিরোধীরা কম কটাক্ষ করত না।

একুশের ভোট মিটটেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে অভিষেকের পর আমূল বদলে গেল সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক-চর্যা। দিনরাত এক করে এ রাজ্য থেকে ও রাজ্য, মাঠে ময়দানে পড়ে থেকে সংগঠন করছেন তিনি। বঙ্গ রাজনীতিতে এতদিন যে অভিষেকের নাম কেবলমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক পংক্তিতেই বসত, ধীরে ধীরে তিনিও আলাদা ‘ফ্যান ফলোয়ার’ তৈরি করেছেন। রাজনীতিতে নিজের আলাদা পরিচয় তৈরি করেছেন। রবিবার কালীঘাটে তাঁর বাড়ির সামনে যে ছবি দেখা গেল, তাতে এ কথা বলতেই হয়।

আরও পড়ুন: ‘আরও লড়াই করব’, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার কথা মনে করিয়ে ‘ভোকাল টনিক’ নাড্ডার