কলকাতা: দিল্লি গেলেন দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার দুপুরের বিমানে দিল্লি রওনা হন তিনি। জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে তাঁর কাছে ফোন এসেছিল। এদিন সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি বিজেপি সাংসদ। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি পদ হারানোর পর থেকেই দিলীপ ঘোষের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কারণ, এই মুহূর্তে সাংসদ ছাড়া সংগঠনের আর কোনও পদে নেই দিলীপ। এর আগে একবার দিলীপ ঘোষের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার সম্ভাবনা শোনা গিয়েছিল। এমনও সে সময় শোনা যায়, দিলীপ নিজেই সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আবারও কি সে প্রস্তাব আসতে চলেছে বাংলার সাংসদের কাছে? আর এলে এবারও কি ফিরিয়ে দেবেন? কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনে দিলীপ বলেন, “দেখা যাবে। দিক প্রস্তাব।”
মূলত বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ হারানোর পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন দিলীপ ঘোষ। এবার জাতীয় সহসভাপতি পদ যাওয়ার পর আরও কিছুটা গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাদের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর থেকে সংবাদমাধ্যমের সামনেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন দিলীপ ঘোষ। এদিনের তলব প্রসঙ্গে শুধু জানিয়েছেন, তাঁকে ডিনারে ডাকা হয়েছে। ফলে এদিন কেন দিলীপকে দিল্লিতে জরুরি তলব, তা নিয়ে নানা জল্পনা বিভিন্ন মহলে।
সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বঙ্গসফরে এসেছিলেন। বঙ্গ সংগঠনের প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। সেখানে ডাক পেয়েছিলেন দিলীপ ঘোষও। তবে সংগঠনে তাঁর অবস্থান নিয়ে যে প্রশ্নের অবকাশ আছে, দিলীপ নিজেই তা বুঝিয়েও দিয়েছিলেন। বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেছিলেন, “আমি এখন আর অথরিটি নই। এসব নিয়ে বলার জন্য দলে অনেক লোক আছে।” সাংগঠনিক কোনও বিষয় নিয়ে ইদানিং চুপচাপ থাকছিলেন দিলীপ। এরইমধ্যে তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হল অমিত শাহের মন্ত্রক থেকে।